Sunday, July 14, 2013

নুরুল করিম

ব্রিটেন-প্রবাসী হওয়া সত্ত্বেও যিনি ভুলে থাকতে পারেননি নিজ মাতৃভুমি বাংলাদেশ তথা বৃহত্তর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা এবং তার জম্মস্থান চর পার্বতী গ্রামকে তিনি শিক্ষা উদ্যোক্তা ও সমাজসেবক নুরুল করিম। ১ জুলাই ১৯৬৭ সালে নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর পার্বতী গ্রামে জম্মগ্রহণ করেন তিনি। মাত্র ৫ বছর নিজ গ্রামের মন-মাতানো সবুজ ছায়া মায়াঘেরা সুনিবিড় শান্তির নীড়, শান্ত-স্নিগ্ধ গ্রামীন পরিবেশে বড় হতে না হতে আপন বড় ভাই নুরুল ইসলাম এর হাত ধরে চলে যেতে হয় চট্টগ্রাম। বড় ভাই ভর্তি করিয়ে দেন চট্টগ্রাম পোর্ট ট্রাষ্ট স্কুলে। এই স্কুল থেকে শুরু হলো তার শিক্ষা জীবনের পথ চলা। অত্র স্কুলে ২ বছর পাঠদান করে নিজ গ্রামে বাবা-মায়ের সানি্নধ্যে ফিরে আসেন। প্রাইমারি শিক্ষা শেষ করেন অত্র গ্রামের হাজারীহাট প্রাইমারি স্কুলে। ভর্তি হলেন স্থানীয় হাইস্কুলে, সেখানে ৩ বছর পড়ে চলে আসেন বসুরহাট হাইস্কুলে এবং অত্র স্কুল থেকে ১৯৮২ সালে মেট্টিক (এসএসসি) পাশ করেন। এরপর ফেনী সরকারী কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে এইচএসসি পাশ করেন। এইচ এস সি পাশ করে উচ্চতর ডিগ্রি জন্য ঢাকায় আসেন, তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে জগন্নাথ কলেজে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ভর্তি হন এবং ১৯৮৭ সালে স্মাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। 

ব্যবস্থাপনায় মাষ্টার্স লেখাপড়া চলাকালীন অবস্থায় দেখতে শুরু করেন নিজ গ্রামের জন্য স্বপ্ন, কিভাবে অভাবগ্রস্থ মানুষের অভাব দূর করা যায়, কিভাবে গরিব, অনাথ শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা বিনা-খরচে পাঠ্যদান করা যায়, কিভাবে নিজ গ্রামের সৌন্ধর্য্যবর্ধন করা যায়, নানাবিদ স্বপ্ন মাথায় ঘোরপাক খেতে থাকে। মনের মাঝে সুপ্ত বাসনা ও স্বপ্নগুলো বারবার জেগে উঠতে থাকে। নিজ গ্রাম, জেলা ও মাতৃভূমি বাংলাদেশের জন্য কিছু একটা করার জন্য মনে প্রবল ইচ্ছা জাগে। ১৯৯০ সালে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য নিয়ে এডিনবারা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম বি এ করার জন্য যুক্তরাজ্যে গমন করেন। এখানে প্রথম কয়েক মাস লেখাপড়া, জীবনযাপন করতে কোন সম্যসা হয়নি কিন্তু পরবর্তীতে লেখাপড়ার খরচ চালাতে গিয়ে সম্যাসায় পড়তে হয়। তখন তার বড় ভাই নুরুল ইসলাম বাংলাদেশ থেকে লেখাপড়ার খরচ চালাতেন। এর মাঝে বড় ভাই হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত হলে অনেক টাকা পয়সা খরচ হয় যার ফলে নুরুল করিমের লেখাপড়া চালাতে গিয়ে পড়লেন অর্থ সংকটে, ফলে কঠিন বাস্তবতা দেখা দিল নুরুল করিম'র জীবনে। কিন্তু তিনি ভয়ও পাননি আবার দমেও জাননি। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন চাকুরী করার। চাকুরী করেই চালাতে হবে লেখাপড়ার, নিজের ও পরিবারের খরচ। যে ভাবা সেই কাজ। ম্যানেজার পদে চাকুরী গ্রহণ করেন একটি রেস্তোরায় এবং সাংবাদিকতার উপর ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করতে থাকেন। সাংবাদিকতার উপর ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন হলে একটি ট্রাভেল এজেন্সীতে সেলস ম্যানেজার পদে যোগদান করেন। ২বছর সেখানে চাকুরী করার পর বার্মিংহাম ক্যাবল কমিউনিকেশন-এ যোগদান করেন। এখানে দীর্ঘদিন চাকুরী করার সুবাদে বিভিন্ন পদে পদোন্নতী পেতে থাকেন। সেল্স এডভাইজার হিসেবে চাকরি শুরু করে ধাপে ধাপে সেল্স এক্সিকিউটিভ, সিনিয়র সেল্স এক্সিকিউটিভ, সেল্স টেরিটরি ম্যানেজমেন্ট প্রভৃতি পদে দায়িত্ব পালন করেন। একসময় উক্ত কোম্পানির সাথে টেলি ওয়েস্ট কোম্পানী একত্রীভূত হলে সেখানে তিনি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কনসালটেন্ট হিসাবে যোগদান করেন। ক্যাবল কমিনিউকেশন ও টেলি ওয়েস্ট-এ সততাপরায়ণ, সাহসীকতা ও দক্ষতার সাথে দীর্ঘ ১০ বছর চাকরি করার সুবাদে একাধিক বার পুরস্কৃত হয়েছেন। বার্মিংহাম রিজিয়নে পেয়েছেন অর্ধশতাধিকবার সেল্স এডভাইজার অব দি মানথ এ্যাওয়ার্ড। ইউ কে তে পেয়েছেন ৩ বার সেল্স এক্সিকিউটিভ অব দি ইয়ার এ্যাওয়ার্ড এবং ২ বার টেরিটরি ম্যাজেমেন্ট এ্যাওয়ার্ড। নুরুল করিমের দীর্ঘ ১০ বছর দক্ষতার সাথে চাকুরী অব্যহত থাকায় তার উর্ধতন কর্মকর্তাদের মনে আস্থাভাজন পাত্র বলে গন্য হোন বলে তারা তাকে পুরস্কার হিসাবে এম বি এ কোর্সে স্পন্সর করেন। বর্তমানে নুরুল করিম ভার্জিন মিডিয়া সংস্থায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কনসালটেন্ট পদে কাজ করছেন। শত কর্মব্যস্ততা থাকা স্বত্তেও নুরুল করিম কখনোই লেখাপড়া কে অবহেলা করেননি, কারণ তিনি ভালো করেই জানতেন উচ্চশিক্ষাই এনে দিতে পারে সাফল্যের চাবিকাঠি। সেই দৃঢ়তা বিশ্বাস নিয়ে এম বি এ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং নিজেকে আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী করে অতি সম্প্রতি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। নুরুল করিম যে আশা স্বপ্ন নিয়ে মাতৃভূমির বুকভরা ভালোবাসার মায়া ত্যাগ করে প্রবাস জীবনে গিয়ে পাড়ি জমান, সেই আশা স্বপ্ন বাস্তবতার রূপে অনেকটাই সফল হয়েছে। তিনি সুদূর প্রবাসে থাকা স্বত্তেও মাতৃভূমির নিজ পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, গ্রামের গরীব দুঃখীদের আত্মমানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন। নুরুল করিম'র দৃঢ়বিশ্বাস যদি কেউ আত্মশুদ্ধির তৃপ্তি অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই তাকে মানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে হবে। তারমতে একটা কাজ কখনোই একার পক্ষে সম্ভব না, তাই সবাইকে সম্মিলিত হয়ে দেশগড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের প্রতিটি সামর্থবান ব্যক্তিরা যদি সততার সাথে মানবসেবায় এগিয়ে আসেন তাহলে এই দেশ একদিন সত্যিকার অর্থে সোনার বাংলাদেশ হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। উচ্চশিক্ষার প্রতি নুরুল করিম এর আদর্শকে গ্রহণ করে পরিবারের সদস্যসহ অনেকেই উৎসাহিত হয়েছেন এবং উচ্চশিক্ষায় ডিগ্রি অর্জন লাভ করেছেন। শুধু তাই নয় কর্মক্ষেত্রেও পৌঁছেছেন সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে। নুরুল করিম'র সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সহযোগিতায় প্রায় ২০০০ জন ছাত্র-ছাত্রী বাংলাদেশে অনেক স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা অর্জন করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে স্পন্সরের জন্য বিদেশে গমন করতে পারছেন না তিনি তাদেরকেও স্পন্সর করে সহযোগিতা দিয়েছেন। নুরুল করিম'র স্বাধীন চিন্তা-চেতনা, দেশপ্রেম, মানবপ্রেম, মানবসেবার কারণে তিনি কোম্পানিগঞ্জে অনেক স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন এবং সহযোগিতা দিয়েছে। প্রয়াত শ্রদ্ধেয় বড় ভাইয়ের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিজ গ্রামে 'নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন' প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু কোম্পানিগঞ্জ এর এলাকাবাসী সবাই সম্মিলিত হয়ে তাদের প্রিয়ভাজনদের নাম মাইলফলক রাখার জন্য ফাউন্ডেশনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় 'ইসলাম-করিম ফাউন্ডেশন'। এই ফাউন্ডেশনের অধীনে একটি মাদ্রাসা, এতিমদের জন্য একটি স্কুল ও মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২০০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। নুরুল করিম এই ফাউন্ডেশনের সমস্ত ব্যয় নির্বাহ করে থাকেন। এছাড়া মাওলানা মুজাফফর স্কুল এন্ড মাদ্রাসা, আমিন উল্যাহ কম্পিউটার টেনিং ইনস্টিটিউট, হাজেরা খাতুন ওরফাঞ্জ, ইসলাম-করিম স্পোর্টি ক্লাব, উম্মে হাবিবা লাইব্রেরীসহ আরো অনেক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এর প্রতিষ্ঠাতা সমাজ দরদী নুরুল করিম। এছাড়া নিজ গ্রাম, উপজেলা, জেলা এমন কি নিজ জেলার বাহিরের মানুষদেরও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে সহযোগিতা করেছেন এবং অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠানে নুরুল করিম তার নিয়মিত সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। 

নুরুল করিম বর্তমানে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাখে জড়িততিনি বাংলাদেশ সেন্টার, ইউকের আজীবন সদস্য, গ্রেটার নোয়াখালী এসোসিয়েশন ইউকের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান এবং অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশি এসোসিয়েশন (এইবিএ)র প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। আদর্শচেতা চিন্তা-ভাবনা, আশাবাদ ও নতুনত্বে অদ্বিতীয় অবস্থান, দয়া-দাক্ষিণ্য ও উদারতায় অতুলনীয় অংশগ্রহণ এবং বন্ধত্বসুলভ আচরণের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সুধী মহলে সুপরিচিতিসহ একটি সুন্দর অবস্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন মেঠো গাঁয়ের সন্তান আমাদের নুরুল করিম। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে নুরুল করিমের এই সমাজসেবামূলক অবস্থান বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে ব্রিটেন প্রবাসী নুরুল করিম ও তার ইসলাম-করিম ফাউন্ডেশন 
যুগে যুগে এদেশে অনেক মানবতাবাদী মানুষের জম্ম হয়েছে। যারা তার কর্ম দিয়ে ইতিহাসে নিজের নামটি লিখে গেছেন। এমনই একজন মানবতাবাদী মানুষ ব্রিটেন প্রবাসী বাংলাদেশী নুরুল করিম। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারীর এ কৃতি সন্তান ব্রিটেন প্রবাসী হলেও নিজ জন্মভূমিকে তথা নিজের এলাকাকে কখনো ভুলে থাকতে পারেননি। মাটি ও মানুষকে ভালবেসেই তিনি প্রতিবছর লন্ডন থেকে ছুটে আসেন বাংলাদেশে। নিজ গ্রামের পাশাপাশি উপজেলা ও জেলার শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে কি করা যায় এ নিয়ে চষে বেড়ান গ্রাম থেকে গ্রামে। শিক্ষা ও সমাজের প্রতি তাঁর এ অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণে দল-মত নির্বিশেষে সমাজের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন ব্রিটেন প্রবাসী নুরুল করিম। 

নুরুল করিম গত যুগেরও বেশি সময় ধরে নিজ এলাকা থেকে মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীকে বিদেশে উচ্চশিক্ষা লাভের উপযোগী করে গড়ে তোলেন এবং প্রতিবছর নিজ খরচে উপযুক্ত ছেলেমেয়েদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করেনপ্রক্রিয়ায় প্রতিবছর ২০ জন গরীব-মেধাবী ছাত্রকে ঢাকার গুলশানে রেখে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানতাদেরকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যাবতীয় কোর্স করিয়ে উপযুক্তদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠান, এর যাবতীয় খরচ বহন করেন তিনি নিজেইবিগত সময়ে তাঁর এই মানব সেবামূলক কার্যক্রম চলে আসছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদীশিক্ষাকে ভালোবেসে, শিক্ষা-বিস্তারে মেধার বিকাশে নুরুল করিমের মত এমন কল্যাণকর কাজ কোম্পানীগঞ্জ তথা নোয়াখালীর এমনকি বাংলাদেশের আর কেউ করেছেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছেভবিষ্যতে যদি কেউ ধরনের কার্যক্রম গ্রহকরেন তবে নুরুল করিম তাদের সকলের কাছে পথিকৃত হয়ে থাকবেন বলে দৃঢ় বিশ্বাস 

নুরুল করিম'বড় ভাই মরহুম নুরুল ইসলাম যিনি ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ তথা নোয়াখালীর রাজনৈতিক সামাজিক অঙ্গনে অতি স্বনামধন্য একজন মানুষবড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ২০০৫ সালে তিনি গঠন করেন ইসলাম-করিম ফাউন্ডেশনফাউন্ডেশনের আওতায় নুরুল করিম কোম্পানীগঞ্জ এলাকার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের ২০০৫ সাল থেকে প্রতিবছর শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে আসছেনকর্মসূচির আওতায় মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে লক্ষ টাকার শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়তাঁর উদ্যোগের ফলে এলাকায় যেমন বেড়েছে শিক্ষার হার, তেমনি উপকৃত হচ্ছে দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীরাপাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে তিনি বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক পোশাক বিতরণ করেনফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল করিম শুধু শিক্ষা উন্নয়নেই সীমাবদ্ধ নন, তিনি সমাজ সেবায়ও অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেনইসলাম-করিম ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নোয়াখালীতে শিক্ষা সমাজসেবায় নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়াও এলাকার দরিদ্র মেয়েদের বিয়ের যাবতীয় খরচসহ অসহায় পরিবারের সন্তানদের বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেনবিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কম্পিউটারসহ শিক্ষা-উপকরণ ছাড়াও নগদ অনুদান প্রদানের মাধ্যমে সর্বদা সহযোগিতার হাত প্রশস্ত রেখেছেন তিনিএছাড়া সাংবাদিকদের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জসহ কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠন এবং স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকাকে কম্পিউটার ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছেনএছাড়া দরিদ্রদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার লক্ষ্যে নিজ উপজেলা কোম্পানীগঞ্জে একটি জেনারেল হাসপাতাল এবং অত্র অঞ্চলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার স্বপ্ন রয়েছে এবং এর কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছেকোম্পানীগঞ্জসহ অত্র অঞ্চলে শিক্ষা উন্নয়নসহ দারিদ্র্য বিমোচনে ইসলাম-করিম ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম দিন দিন যেমন প্রসারিত হচ্ছে তেমনি প্রশংশিতও হচ্ছে সর্বত্রএকজন প্রবাসী হয়েও নুরুল করিম তার নিয়মিত কাজের দ্বারা প্রমাণ করলেন মানুষ মরে যায় কিন্তু অমর হয়ে থাকে তার কর্মে 

সাপোর্টার/ নোয়াখালী ওয়েব/ জীর

No comments: