Sunday, July 14, 2013

নুরুল করিম

ব্রিটেন-প্রবাসী হওয়া সত্ত্বেও যিনি ভুলে থাকতে পারেননি নিজ মাতৃভুমি বাংলাদেশ তথা বৃহত্তর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা এবং তার জম্মস্থান চর পার্বতী গ্রামকে তিনি শিক্ষা উদ্যোক্তা ও সমাজসেবক নুরুল করিম। ১ জুলাই ১৯৬৭ সালে নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর পার্বতী গ্রামে জম্মগ্রহণ করেন তিনি। মাত্র ৫ বছর নিজ গ্রামের মন-মাতানো সবুজ ছায়া মায়াঘেরা সুনিবিড় শান্তির নীড়, শান্ত-স্নিগ্ধ গ্রামীন পরিবেশে বড় হতে না হতে আপন বড় ভাই নুরুল ইসলাম এর হাত ধরে চলে যেতে হয় চট্টগ্রাম। বড় ভাই ভর্তি করিয়ে দেন চট্টগ্রাম পোর্ট ট্রাষ্ট স্কুলে। এই স্কুল থেকে শুরু হলো তার শিক্ষা জীবনের পথ চলা। অত্র স্কুলে ২ বছর পাঠদান করে নিজ গ্রামে বাবা-মায়ের সানি্নধ্যে ফিরে আসেন। প্রাইমারি শিক্ষা শেষ করেন অত্র গ্রামের হাজারীহাট প্রাইমারি স্কুলে। ভর্তি হলেন স্থানীয় হাইস্কুলে, সেখানে ৩ বছর পড়ে চলে আসেন বসুরহাট হাইস্কুলে এবং অত্র স্কুল থেকে ১৯৮২ সালে মেট্টিক (এসএসসি) পাশ করেন। এরপর ফেনী সরকারী কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে এইচএসসি পাশ করেন। এইচ এস সি পাশ করে উচ্চতর ডিগ্রি জন্য ঢাকায় আসেন, তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে জগন্নাথ কলেজে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ভর্তি হন এবং ১৯৮৭ সালে স্মাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। 

ব্যবস্থাপনায় মাষ্টার্স লেখাপড়া চলাকালীন অবস্থায় দেখতে শুরু করেন নিজ গ্রামের জন্য স্বপ্ন, কিভাবে অভাবগ্রস্থ মানুষের অভাব দূর করা যায়, কিভাবে গরিব, অনাথ শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা বিনা-খরচে পাঠ্যদান করা যায়, কিভাবে নিজ গ্রামের সৌন্ধর্য্যবর্ধন করা যায়, নানাবিদ স্বপ্ন মাথায় ঘোরপাক খেতে থাকে। মনের মাঝে সুপ্ত বাসনা ও স্বপ্নগুলো বারবার জেগে উঠতে থাকে। নিজ গ্রাম, জেলা ও মাতৃভূমি বাংলাদেশের জন্য কিছু একটা করার জন্য মনে প্রবল ইচ্ছা জাগে। ১৯৯০ সালে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য নিয়ে এডিনবারা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম বি এ করার জন্য যুক্তরাজ্যে গমন করেন। এখানে প্রথম কয়েক মাস লেখাপড়া, জীবনযাপন করতে কোন সম্যসা হয়নি কিন্তু পরবর্তীতে লেখাপড়ার খরচ চালাতে গিয়ে সম্যাসায় পড়তে হয়। তখন তার বড় ভাই নুরুল ইসলাম বাংলাদেশ থেকে লেখাপড়ার খরচ চালাতেন। এর মাঝে বড় ভাই হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত হলে অনেক টাকা পয়সা খরচ হয় যার ফলে নুরুল করিমের লেখাপড়া চালাতে গিয়ে পড়লেন অর্থ সংকটে, ফলে কঠিন বাস্তবতা দেখা দিল নুরুল করিম'র জীবনে। কিন্তু তিনি ভয়ও পাননি আবার দমেও জাননি। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন চাকুরী করার। চাকুরী করেই চালাতে হবে লেখাপড়ার, নিজের ও পরিবারের খরচ। যে ভাবা সেই কাজ। ম্যানেজার পদে চাকুরী গ্রহণ করেন একটি রেস্তোরায় এবং সাংবাদিকতার উপর ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করতে থাকেন। সাংবাদিকতার উপর ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন হলে একটি ট্রাভেল এজেন্সীতে সেলস ম্যানেজার পদে যোগদান করেন। ২বছর সেখানে চাকুরী করার পর বার্মিংহাম ক্যাবল কমিউনিকেশন-এ যোগদান করেন। এখানে দীর্ঘদিন চাকুরী করার সুবাদে বিভিন্ন পদে পদোন্নতী পেতে থাকেন। সেল্স এডভাইজার হিসেবে চাকরি শুরু করে ধাপে ধাপে সেল্স এক্সিকিউটিভ, সিনিয়র সেল্স এক্সিকিউটিভ, সেল্স টেরিটরি ম্যানেজমেন্ট প্রভৃতি পদে দায়িত্ব পালন করেন। একসময় উক্ত কোম্পানির সাথে টেলি ওয়েস্ট কোম্পানী একত্রীভূত হলে সেখানে তিনি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কনসালটেন্ট হিসাবে যোগদান করেন। ক্যাবল কমিনিউকেশন ও টেলি ওয়েস্ট-এ সততাপরায়ণ, সাহসীকতা ও দক্ষতার সাথে দীর্ঘ ১০ বছর চাকরি করার সুবাদে একাধিক বার পুরস্কৃত হয়েছেন। বার্মিংহাম রিজিয়নে পেয়েছেন অর্ধশতাধিকবার সেল্স এডভাইজার অব দি মানথ এ্যাওয়ার্ড। ইউ কে তে পেয়েছেন ৩ বার সেল্স এক্সিকিউটিভ অব দি ইয়ার এ্যাওয়ার্ড এবং ২ বার টেরিটরি ম্যাজেমেন্ট এ্যাওয়ার্ড। নুরুল করিমের দীর্ঘ ১০ বছর দক্ষতার সাথে চাকুরী অব্যহত থাকায় তার উর্ধতন কর্মকর্তাদের মনে আস্থাভাজন পাত্র বলে গন্য হোন বলে তারা তাকে পুরস্কার হিসাবে এম বি এ কোর্সে স্পন্সর করেন। বর্তমানে নুরুল করিম ভার্জিন মিডিয়া সংস্থায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কনসালটেন্ট পদে কাজ করছেন। শত কর্মব্যস্ততা থাকা স্বত্তেও নুরুল করিম কখনোই লেখাপড়া কে অবহেলা করেননি, কারণ তিনি ভালো করেই জানতেন উচ্চশিক্ষাই এনে দিতে পারে সাফল্যের চাবিকাঠি। সেই দৃঢ়তা বিশ্বাস নিয়ে এম বি এ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং নিজেকে আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী করে অতি সম্প্রতি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। নুরুল করিম যে আশা স্বপ্ন নিয়ে মাতৃভূমির বুকভরা ভালোবাসার মায়া ত্যাগ করে প্রবাস জীবনে গিয়ে পাড়ি জমান, সেই আশা স্বপ্ন বাস্তবতার রূপে অনেকটাই সফল হয়েছে। তিনি সুদূর প্রবাসে থাকা স্বত্তেও মাতৃভূমির নিজ পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, গ্রামের গরীব দুঃখীদের আত্মমানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন। নুরুল করিম'র দৃঢ়বিশ্বাস যদি কেউ আত্মশুদ্ধির তৃপ্তি অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই তাকে মানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে হবে। তারমতে একটা কাজ কখনোই একার পক্ষে সম্ভব না, তাই সবাইকে সম্মিলিত হয়ে দেশগড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের প্রতিটি সামর্থবান ব্যক্তিরা যদি সততার সাথে মানবসেবায় এগিয়ে আসেন তাহলে এই দেশ একদিন সত্যিকার অর্থে সোনার বাংলাদেশ হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। উচ্চশিক্ষার প্রতি নুরুল করিম এর আদর্শকে গ্রহণ করে পরিবারের সদস্যসহ অনেকেই উৎসাহিত হয়েছেন এবং উচ্চশিক্ষায় ডিগ্রি অর্জন লাভ করেছেন। শুধু তাই নয় কর্মক্ষেত্রেও পৌঁছেছেন সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে। নুরুল করিম'র সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সহযোগিতায় প্রায় ২০০০ জন ছাত্র-ছাত্রী বাংলাদেশে অনেক স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা অর্জন করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে স্পন্সরের জন্য বিদেশে গমন করতে পারছেন না তিনি তাদেরকেও স্পন্সর করে সহযোগিতা দিয়েছেন। নুরুল করিম'র স্বাধীন চিন্তা-চেতনা, দেশপ্রেম, মানবপ্রেম, মানবসেবার কারণে তিনি কোম্পানিগঞ্জে অনেক স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন এবং সহযোগিতা দিয়েছে। প্রয়াত শ্রদ্ধেয় বড় ভাইয়ের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিজ গ্রামে 'নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন' প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু কোম্পানিগঞ্জ এর এলাকাবাসী সবাই সম্মিলিত হয়ে তাদের প্রিয়ভাজনদের নাম মাইলফলক রাখার জন্য ফাউন্ডেশনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় 'ইসলাম-করিম ফাউন্ডেশন'। এই ফাউন্ডেশনের অধীনে একটি মাদ্রাসা, এতিমদের জন্য একটি স্কুল ও মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২০০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। নুরুল করিম এই ফাউন্ডেশনের সমস্ত ব্যয় নির্বাহ করে থাকেন। এছাড়া মাওলানা মুজাফফর স্কুল এন্ড মাদ্রাসা, আমিন উল্যাহ কম্পিউটার টেনিং ইনস্টিটিউট, হাজেরা খাতুন ওরফাঞ্জ, ইসলাম-করিম স্পোর্টি ক্লাব, উম্মে হাবিবা লাইব্রেরীসহ আরো অনেক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এর প্রতিষ্ঠাতা সমাজ দরদী নুরুল করিম। এছাড়া নিজ গ্রাম, উপজেলা, জেলা এমন কি নিজ জেলার বাহিরের মানুষদেরও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে সহযোগিতা করেছেন এবং অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠানে নুরুল করিম তার নিয়মিত সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। 

নুরুল করিম বর্তমানে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাখে জড়িততিনি বাংলাদেশ সেন্টার, ইউকের আজীবন সদস্য, গ্রেটার নোয়াখালী এসোসিয়েশন ইউকের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান এবং অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশি এসোসিয়েশন (এইবিএ)র প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। আদর্শচেতা চিন্তা-ভাবনা, আশাবাদ ও নতুনত্বে অদ্বিতীয় অবস্থান, দয়া-দাক্ষিণ্য ও উদারতায় অতুলনীয় অংশগ্রহণ এবং বন্ধত্বসুলভ আচরণের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সুধী মহলে সুপরিচিতিসহ একটি সুন্দর অবস্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন মেঠো গাঁয়ের সন্তান আমাদের নুরুল করিম। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে নুরুল করিমের এই সমাজসেবামূলক অবস্থান বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে ব্রিটেন প্রবাসী নুরুল করিম ও তার ইসলাম-করিম ফাউন্ডেশন 
যুগে যুগে এদেশে অনেক মানবতাবাদী মানুষের জম্ম হয়েছে। যারা তার কর্ম দিয়ে ইতিহাসে নিজের নামটি লিখে গেছেন। এমনই একজন মানবতাবাদী মানুষ ব্রিটেন প্রবাসী বাংলাদেশী নুরুল করিম। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারীর এ কৃতি সন্তান ব্রিটেন প্রবাসী হলেও নিজ জন্মভূমিকে তথা নিজের এলাকাকে কখনো ভুলে থাকতে পারেননি। মাটি ও মানুষকে ভালবেসেই তিনি প্রতিবছর লন্ডন থেকে ছুটে আসেন বাংলাদেশে। নিজ গ্রামের পাশাপাশি উপজেলা ও জেলার শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে কি করা যায় এ নিয়ে চষে বেড়ান গ্রাম থেকে গ্রামে। শিক্ষা ও সমাজের প্রতি তাঁর এ অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণে দল-মত নির্বিশেষে সমাজের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন ব্রিটেন প্রবাসী নুরুল করিম। 

নুরুল করিম গত যুগেরও বেশি সময় ধরে নিজ এলাকা থেকে মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীকে বিদেশে উচ্চশিক্ষা লাভের উপযোগী করে গড়ে তোলেন এবং প্রতিবছর নিজ খরচে উপযুক্ত ছেলেমেয়েদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করেনপ্রক্রিয়ায় প্রতিবছর ২০ জন গরীব-মেধাবী ছাত্রকে ঢাকার গুলশানে রেখে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানতাদেরকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যাবতীয় কোর্স করিয়ে উপযুক্তদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠান, এর যাবতীয় খরচ বহন করেন তিনি নিজেইবিগত সময়ে তাঁর এই মানব সেবামূলক কার্যক্রম চলে আসছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদীশিক্ষাকে ভালোবেসে, শিক্ষা-বিস্তারে মেধার বিকাশে নুরুল করিমের মত এমন কল্যাণকর কাজ কোম্পানীগঞ্জ তথা নোয়াখালীর এমনকি বাংলাদেশের আর কেউ করেছেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছেভবিষ্যতে যদি কেউ ধরনের কার্যক্রম গ্রহকরেন তবে নুরুল করিম তাদের সকলের কাছে পথিকৃত হয়ে থাকবেন বলে দৃঢ় বিশ্বাস 

নুরুল করিম'বড় ভাই মরহুম নুরুল ইসলাম যিনি ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ তথা নোয়াখালীর রাজনৈতিক সামাজিক অঙ্গনে অতি স্বনামধন্য একজন মানুষবড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ২০০৫ সালে তিনি গঠন করেন ইসলাম-করিম ফাউন্ডেশনফাউন্ডেশনের আওতায় নুরুল করিম কোম্পানীগঞ্জ এলাকার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের ২০০৫ সাল থেকে প্রতিবছর শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে আসছেনকর্মসূচির আওতায় মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে লক্ষ টাকার শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়তাঁর উদ্যোগের ফলে এলাকায় যেমন বেড়েছে শিক্ষার হার, তেমনি উপকৃত হচ্ছে দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীরাপাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে তিনি বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক পোশাক বিতরণ করেনফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল করিম শুধু শিক্ষা উন্নয়নেই সীমাবদ্ধ নন, তিনি সমাজ সেবায়ও অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেনইসলাম-করিম ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নোয়াখালীতে শিক্ষা সমাজসেবায় নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়াও এলাকার দরিদ্র মেয়েদের বিয়ের যাবতীয় খরচসহ অসহায় পরিবারের সন্তানদের বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেনবিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কম্পিউটারসহ শিক্ষা-উপকরণ ছাড়াও নগদ অনুদান প্রদানের মাধ্যমে সর্বদা সহযোগিতার হাত প্রশস্ত রেখেছেন তিনিএছাড়া সাংবাদিকদের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জসহ কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠন এবং স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকাকে কম্পিউটার ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছেনএছাড়া দরিদ্রদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার লক্ষ্যে নিজ উপজেলা কোম্পানীগঞ্জে একটি জেনারেল হাসপাতাল এবং অত্র অঞ্চলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার স্বপ্ন রয়েছে এবং এর কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছেকোম্পানীগঞ্জসহ অত্র অঞ্চলে শিক্ষা উন্নয়নসহ দারিদ্র্য বিমোচনে ইসলাম-করিম ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম দিন দিন যেমন প্রসারিত হচ্ছে তেমনি প্রশংশিতও হচ্ছে সর্বত্রএকজন প্রবাসী হয়েও নুরুল করিম তার নিয়মিত কাজের দ্বারা প্রমাণ করলেন মানুষ মরে যায় কিন্তু অমর হয়ে থাকে তার কর্মে 

সাপোর্টার/ নোয়াখালী ওয়েব/ জীর

মোহাম্মদ কাজল

মোহাম্মদ কাজল। কাজল নামেই যিনি সর্বাধিক পরিচিত। জীবন ও জীবিকার তাগিদে প্রবাসে জীবন-যাপন করলেও সমাজ ও দেশমাতৃকার জন্য এই তরুণ যুবকটির অবদান সত্যিই অনস্বীকার্য। দেশের অসহায় ও ক্ষুধাপীড়িত মানুষদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোই ছিল তাঁর আজন্ম স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রত্যয়েই তিনি অন্যের চাকুরীর পরিবর্তে ব্যবসাকেই জীবিকার মাধ্যম হিসেবে বেচে নিয়েছিলেন। স্থানীয় বসুরহাট বাজারে শতরূপানামের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু হলেও তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তা ছিল নিতান্তই অপ্রতুল। অবশেষে তাঁর লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যেই তিনি ১৯৯৫ সালের জানুয়ারী মাসে পাড়ি দেন সুদূর আমেরিকায়। যেখানে আজ সে একজন অন্যতম সফল ব্যবসায়ী। পাশাপাশি জন্মভূমির জন্যও দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী একজন কৃর্তীমান সমাজ সেবক।


জন্ম ও শিক্ষা: পৈত্রিক নিবাস নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদনগর গ্রামে ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ কাজল। পিতা আলহাজ্ব সুলতান আহাম্মদ এবং মাতা আনোয়ারা বেগম। তার বাবা আলহাজ্ব সুলতান আহমেদ বসুরহাট বাজারের একজন নামকরা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি বাবা-মায়ের ২য় সন্তান। প্রকৃতির অকৃত্রিম মায়া আর মমতায় ঘেরা গ্রাম মোহাম্মদনগরেই কেটেছে তাঁর শৈশব ও কৈশর। সেখানে মানিকপুর হাইস্কুলে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু হয় এবং একই স্কুল থেকে ১৯৮৮ সালে তিনি কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাস করেন। অতঃপর বসুরহাট সরকারী মুজিব কলে থেকে ১৯৯০ সালে এইচএসসি এবং ১৯৯২ সালে বিএ পাস করেন। বর্তমানে বসুরহাট টিএন্ডটি রোডে তার তৈরি আধুনিক বহুতল বাড়িতে তার পরিবারের সদস্যরা বসবাস করছেন। এছাড়া পৌর মার্কেট সংলগ্ন নিজেদের খাজা মার্কেট ও খাজা বেকারী তার বাবা ও ছোট ভাইয়েরা সুনামের সাথে পরিচালনা করে আসছেন।

ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে অর্থের প্রয়োজনীয়তা ছাত্রজীবন থেকেই তিনি তীব্রভাবে উপলব্দি করতে থাকেন। তাই সময়ের দাবীতেই শিক্ষা জীবনের ইতি টেনে ১৯৯২ সালে বসুরহাট বাজারে শতরূপানামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার মধ্য দিয়েই তিনি কর্মজীবনের সূত্রপাত করেন। কিন্তু ঐ ব্যবসায় তার প্রয়োজন আর লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ছিল অসঙ্গতিঁপূর্ণ। অবশেষে ১৯৯৫ সালে তিনি পাড়ি জমান আটলান্টিকের ওপারে স্বপ্নের দেশ আমেরিকায়। অনেক কষ্ট আর ত্যাগ তিতিক্ষার পর ১৯৯৮ সালে তিনি আমেরিকার মেরিল্যান্ড স্টেটের বাল্টিমোর শহরে সারাটোগা রোডে বিছমিল্লাহ বডি ওয়েল এন্ড ভ্যারাইটি ষ্টোরনামে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। কালক্রমে তিনি আরো বড়ো আকারের দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। যেগুলোর নাম ফাতেমা মিনি মার্টএবং সারাটোগা বিউটি এন্ড বারবার সাপ্লাই। বিছমিল্লাহপড়ে কর্ম শুরু করলে তার প্রতি আল্লাহ পাকের রহমত ও বরকত বর্ষিত হতে থাকে। যা বাল্যকালে মা-বাবা এবং মক্তবে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়ে শিখানো হয়। তার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে তরুণ যুবক মোহাম্মদ কাজলের জীবনে। বিছমিল্লাহনাম দিয়ে শুরু করা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই তার ভাগ্যের চাকাতে পারোদমে ঘুরিয়ে দিয়েছে। সু-প্রসন্ন করে দিয়েছে তাঁর লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ ও গতি। চাওয়া-পাওয়ার অনেক সিঁড়ি ডিঙ্গিয়ে আজ সে একজন সফল পুরুষ। বাবা মায়ের গর্বিত সন্তান।

পারিবারিক জীবন: নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আমেরিকান প্রবাসী জনাব নূর হোসেনের ৫ম কন্যা ফাতেমা আক্তার সুমীর সাথে ১৯৯৯ সালের ১১ নভেম্বর মোহাম্মদ কাজল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০০৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তাদের কোল জুড়ে আসে একমাত্র পুত্র সন্তান রায়হান আহমেদ। বর্তমানে সে আমেরিকার মেরিল্যান্ড স্টেটে আর রাহমান ইসলামিক স্কুলএর ছাত্র। মোহাম্মদ কাজল পরিবারের ৭ ভাই-বোনের মধ্যে ২য়। তার বড় এক বোন। ছোট তিন বোনসহ মোট চার বোনই ব্যক্তিগত জীবনের বিবাহিত এবং সুখী জীবনের অধিকারীনি। ছোট দুই ভাই নজরুল ইসলাম বর্তমানে আমেরিকায় ভাই ব্যবসা দেখাশুনা করছেন  এবং কামরুল ইসলাম স্বপন বসুরহাটে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

সমাজসেবা: মোহাম্মদ কাজলের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নিজ বাবা-মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত আলহাজ্ব সুলতান-আনোয়ারা ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠার পর পরই তার মাধ্যমে তিনি সখিনা খাতুন (দাদী)র নামে ফ্রি ক্লিনিক চালু করেন। যার মাধ্যমে প্রতি শুক্রবারে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মাধ্যমে গরীব ও অসহায়দের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। ২০০৫ সাল থেকে অদ্যাবধি এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে সূচারুরূপে। আমাদের শিক্ষার মানোন্নয়ন তথা শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বসুরহাট একাডেমীরমাধ্যমে ২০০৬ সালে তিনি চালু করেনআলহাজ্ব সুলতান আনোয়ারা স্কলারশীপ। পূর্বে অন্য একটি প্রবাসী সংস্থা ঐ বৃত্তি প্রদান শুরু করলে তিনিও ঐ প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। পরে ঐ সংস্থাটি হাত ঘুটিয়ে নিলে ২০০৬ সাল থেকে মোহাম্মদ কাজল এককভাবে আলহাজ্ব সুলতান আনোয়ারা ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমেই ঐ বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম এখনো চালিয়ে আসছেন। এই প্রকল্পের আওতায় তিনি প্রতি বছর ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর ২৫ জন করে ৭৫ জন এবং ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণী থেকে ২০ জন করে ৬০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি প্রদান করে থাকেন। শিক্ষা ক্ষেত্রে তাঁর এই অনবদ্য ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়।

তিনি বসুরহাটের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বসুরহাট একাডেমীর পরিচালক ও বসুরহাট নার্সিং হোমের প্রতিষ্ঠাতা পরিষদ সদস্য। এ দুটি প্রতিষ্ঠানের একটি শিশুদের পড়ালেখা ও সঠিকভাবে গড়ে ওঠা এবং অপরটি এলাকার লোকজনকে সঠিক ও সল্পমূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে।

মোহাম্মদ কাজলের সমাজ সেবার আরেক অন্যতম নিদর্শন বায়তুন নাজাত জামে মসজিদ। গ্রাম বাংলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের সুযোগ প্রদানের প্রত্যয়ে তিনি উত্তর পশ্চিম চরকাঁকড় গ্রামের (২নং ওয়ার্ড) কামলারপুল নামকস্থানে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেন অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্নবায়তুন নাজাত জামে মসজিদ কমপ্লেক্স

এছাড়াও স্বীয় জন্মস্থান কোম্পানীগঞ্জের সাহায্য প্রার্থী সকল দরিদ্র জনগণের ডাকে তিনি থাকেন সদা জাগরুক। মেয়ের বিয়ের জন্য কন্যা-দায়গ্রস্থ পিতা-মাতার আহ্বানে তার সাহায্যের হাত থাকে উন্মুক্ত। এলাকার অসহায় ও দরিদ্রদের শিক্ষা ও চিকিৎসার জন্য তিনি সাধ্যানুযায়ী আর্থিক সাহায্য করে আসছেন অকাতরে। উদার মনের এই তরুণ যুবক সুদূর আমেরিকাতেও আঞ্চলিক সংগঠন সমূহের সাথে সম্পৃক্ত থেকে দেশমাতৃকার ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের সার্বিক সেবা প্রদান করে আসছেন।

মোহাম্মদ কাজল প্রবাসের অসংখ্য সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করে প্রবাসী বাঙালীদের কল্যাণে নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রেখেছেন। তিনি মেরিল্যান্ড বাংলা স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব পিলাভেলফিয়ার প্রেসিডেন্ট, নিউইয়র্কস্থ কোম্পানিগঞ্জ সমিতির উপদেষ্টা, গ্রেটার নোয়াখালী সমিতির সদস্য, বাংলাদেশ সোসাইটি সদস্য, ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সদস্য দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করছেন।

দেশ ও দেশের দরিদ্র জনগণের পরম হীতাকাঙ্ক্ষী এই কৃর্তীমান যুবক তার স্বপ্ন পুরণে দূর্বার গতীতে এগিয়ে চলুক এবং তাঁর এই উদ্দীপনা ও কর্মচাঞ্চল্যতা এবং সাহায্যের হাত উত্তরোত্তর সম্প্রসারিত হোক।


সাপোর্টার/ নোয়াখালী ওয়েব/ জীর

Monday, May 27, 2013

গৌরবের ১০ম বর্ষে নোয়াখালী ওয়েব

আশির দশকে প্রশাসনিকভাবে নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর তিন জেলায় বিভক্ত হলেও এ অঞ্চলের মানুষের কৃষ্টি কালচার একই রকম এবং সারাবিশ্বে নোয়াখাইল্লাহিসাবেই এ অঞ্চলের মানুষ বিশেষভাবে পরিচিত। বার বার নদী ভাঙনে বাংলাদেশের সুপ্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি রয়ালডিস্টিক খ্যাত ভুলুয়ার বিখ্যাত দীঘি, ফরাশগঞ্জ বন্দর, প্রাচীন অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনার বিলীন হয়ে যায়। ভাঙাগড়ার নোয়াখালী, উপকূলীয় নোয়াখালী সপ্রতিভ সবসময়ে, তার সাহিত্য-সংস্কৃতি, মেধা ও মননে। এখানকার মানুষগুলো মেঘনা নদীর ভাঙন দেখতে দেখতে সংগ্রামী মনোভাব ফুটিয়ে তোলে তার আপন সত্তায়, আপন বোধে। সমুন্নত রাখে তার ভাব-বোধ, সংস্কৃতি-কৃষ্টিতে। শিল্পের প্রাণময় বিকাশে এখানকার মানুষগুলোর জুড়ি নেই। প্রমত্ত মেঘনার পাড়ে বসে অসংখ্য গুণী মানুষ এখানে নান্দীপাঠ করেছেন।প্রবাসী অধ্যুষিত বৃহত্তর এ জনগোষ্ঠীর তথা বৃহত্তর নোয়াখালীর মানুষকে স্থানীয় ও কমিউনিটির খবরা-খবর তাৎক্ষনিকভাবে প্রদান করার লক্ষ্য নিয়ে ২০০৫ সালের পহেলা জুলাই অনলাইন পত্রিকা নোয়াখালী ওয়েবের যাত্রা শুরু হয়। আপনার এলাকা, আপনার সংবাদ -এ স্লোগানকে ধারণ করে বৃহত্তর নোয়াখালীর সর্বপ্রথম অনলাইন পত্রিকা নোয়াখালী ওয়েব ১০ম বর্ষে পদার্পন করল। যাত্রার শুরুর দিনগুলোতে বাংলাদেশে অনলাইন পত্রিকার ধারনাটা একেবারেই নতুন ছিল এবং একমাত্র বিডিনিউজ অনলাইনে তাদের নিউজ প্রকাশ করত। কার্যক্রম শুরুর আগে নোয়াখালী ওয়েব প্রায় ১ বছর মানুষের মধ্যে অনলাইন পত্রিকা সম্পর্কে ধারণা তৈরি করার জন্য কাজ করে, ইন্টারনেট এর প্রসারের লক্ষ্যে জিপিসিআইসিসহ বিভিন্ন প্রজেক্ট এর সাথে পার্টনার হিসাবে কাজ করে এবং ২০০৫ সালের জুলাই মাস থেকে পত্রিকাটি নিউজ প্রকাশনা শুরু করে। প্রকাশনা শুরু করার খুব অল্প সময়ের মধ্যে নোয়াখালী ওয়েব বৃহত্তর নোয়াখালীসহ বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিশেষ করে প্রবাসীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। শুধু বৃহত্তর নোয়াখালী নয়, বাংলাদেশের প্রথম আঞ্চলিক (কমিউনিটির) অনলাইন পত্রিকা হিসেবে ২৪ ঘন্টা সংবাদ প্রদান করার গৌরবটি নোয়াখালী ওয়েবর দখলে। আঞ্চলিক অনলাইন পত্রিকা হিসেবে নোয়াখালী ওয়েব-ই প্রথম, যা আজ বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে মডেল হিসেবে অনুসরণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পাঠক চাহিদার কথা বিবেচনা করে নোয়াখালী ওয়েব স্থানীয় সংবাদের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদও প্রকাশ করছে। এতে করে বৃহত্তর নোয়াখালীর বাহিরে অন্যান্য জেলার মানুষের কাছেও নোয়াখালী ওয়েব ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। যা নোয়াখালীবাসীর জন্য গর্ব করার মত একটি বিষয়।

বিশ্ববিখ্যাত এল্যাক্সা র‌্যাংকিং অনুসারে বর্তমানে নোয়াখালী ওয়েববাংলাদেশের অন্যতম অনলাইন পত্রিকা। দেশে এবং বিদেশে বর্তমানে এর দৈনিক পাঠক সংখ্যা প্রায় ৮০,০০০ (আশি হাজার) যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

পাঠক সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশসৌদি আরবযুক্তরাষ্ট্রসংযুক্ত আরব আমিরাতইতালীযুক্তরাজ্য, কুয়েতকাতারফ্রান্স, ভারত, কানাডাসিঙ্গাপুরঅস্ট্রেলিয়ামালেশিয়াফিনল্যান্ড ধারাবাহিকভাবে শীর্ষে রয়েছে। উল্লেখ্য বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রায় ১২ লক্ষ লোক প্রবাসে অবস্থান করছে। ফলে অনলাইন ভিত্তিক ডিজিটাল পত্রিকাটি বৃহত্তর এ জনগোষ্ঠীর মাঝে দ্রুততার সাথে পৌঁছে যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে এ বছর (২০১৪) সাল নাগাদ এর পাঠক সংখ্যা হবে লক্ষাধিক।

বৃহত্তর নোয়াখালীর মানুষদের জন্য সেবামূলক এবং সময়োপযুগী কিছু করার স্বপ্ন থেকে সাংবাদিক খালেদ সাইফুল্যাহর ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায়  নোয়াখালী ওয়েব প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন লিমিটেড এর আর্থিক সহায়তায় পত্রিকাটি এখন পর্যন্ত চলমান রয়েছে। পাশাপাশি কিছু হৃদয়বান মানুষ তাদের ন্যুনতম সহযোগিতা দিয়ে নোয়াখালী ওয়েবর পথ চলায় সাহস যুগিয়েছেন। নোয়াখালী ওয়েব প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় খালেদ সাইফুল্যাহকে উৎসাহ ও উদ্দীপনায় যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের মধ্যে মাহমুদুল হক ফয়েজ, মির্জা তারেকুল কাদের, হাবীব ইমনইকবাল হোসেন মজনু, মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন, সাইফুল্যাহ কামরুল, নাসির উদ্দিন বাদল, মো. মাহবুবুর রহমান, মিজানুর রহমান, খোরশেদ আলম, সোহরাব হোসেন বাবর, মোহাম্মদ শরফ উদ্দিন শাহীন, হাসান ইমাম রাসেল, মোহাম্মদ আবু তাহের, বখতেয়ার ইসলাম মুন্না, মোহাম্মদ শাহাদা হোসেন, সারোয়ার রানা, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এমরান পাটোয়ারী, নূর শাহ আজাদ, রেজাউল কবির সামাদ, মিজানুর রহমান মানিকরবিউল ইসলাম খাননজরুল ইসলাম দীপু অন্যতম। এর বাহিরে বিভিন্ন লেখনির মাধ্যমে আরো যাদের সহযোগিতা পেয়েছি তাদের মধ্যে, বিজন সেন, মাহবুবুর রহমান তুহিন, জাহিদুর রহমানর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে নোয়াখালীর লোক না হয়েও নোয়াখালী ওয়েব'র জন্য যার অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি হলেন ফরিদপুর নিবাসী এবং দুবাই প্রবাসী, বাংলা এক্সপ্রেস পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ। ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং নোয়াখালী ওয়েব'র প্রতি আন্তরিকতার কারণে যেকোন ক্রান্তিকালে ঋণ দিয়ে কিংবা বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে তিনি সব সময় নোয়াখালী ওয়েব'র পাশে ছিলেন এবং এখনো আছেন। এছাড়া নোয়াখালী ওয়েবের মুদ্রাকর মোহাম্মদ শামছু উদ্দিন পারভেজ, ওয়েব ডেভেলপার ইঞ্জি: আবু সুমাইন, ইঞ্জি: তারেকুল ইসলাম খান, ইঞ্জি: শামছুল হক, লিটন চন্দ্র দেসহ কিছু মানুষের অবদান নোয়াখালী ওয়েব সব সময় কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ রাখবে।

প্রতিষ্ঠানটি চলার পথে অর্থনৈতিকভাবে আমরা বৃহত্তর নোয়াখালীবাসীর তেমন কোন আর্থিক সহযোগিতা পাইনি। তবে ইসলাম করিম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বৃটিশ-বাংলাদেশী জনাব নুরুল করিম, সুলতান আনোয়ারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী জনাব মো. কাজল, ফ্রান্স প্রবাসী জনাব এম এ তাহের, দেবব্রত চক্রবর্তী ভূলন, ইতালী প্রবাসী মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন ভূইয়াসহ বেশ কয়েকজন তাদের যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন এ জন্য আমরা তাদের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। এছাড়া মেট্রো হোমস ডেভে. লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব ফখরুল ইসলাম ২০১০-২০১৩ সাল পর্যন্ত একটি নিয়মিত বিজ্ঞাপন প্রদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে সহযোগিতা দিয়েছেন এজন্য আমরা তার কাছেও কৃতজ্ঞ। এছাড়া কয়েকজন ব্যবসায়ী সহযোগিতা করার যে মনোভাব দেখিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তবে সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন লিমিটেড এর সম্মানিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু নাসের, পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন, মো. আশরাফুল কবিরসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে যারা বিপুল পরিমাণ প্রাতিষ্ঠানিক লোকসান স্বত্বেও নোয়াখালী ওয়েবকে চালিয়ে নেয়ার ব্যাপারে কখনো দ্বিমত পোষণ করেন নি।

নোয়াখালী ওয়েব এর দীর্ঘ সময়ের চলার পথটি কখনো মসৃণ ছিল না। শুরু থেকেই নোয়াখালীর কতিপয় লোক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগে। বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র, অপ-প্রচার অব্যাহত রাখে। এক সময় প্রতিষ্ঠান থেকে বাদ পড়া লোকজনও হিংসা কিংবা হীন স্বার্থের কারণে শত্রু হিসাবে আবিভূত হয়ে বিভিন্নভাবে ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করেছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন। কিন্তু আমরা মনে করি হিংসার বশবর্তী হয়ে ভালো কাজের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নেয় তারা কখনো সফল হয় না। প্রকাশ্যে অথবা অপ্রকাশ্যে যারাই বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলেন বা আছেন তাদের ফলাফল শূন্য। নোয়াখালী ওয়েব এর মূল চালিকা শক্তি হাজারো পাঠকের ভালোবাসা আর সেই শক্তিতেই পত্রিকাটি এতদূর আসতে সক্ষম হয়েছে। সুতরাং ভালোবাসার বিপরীতে যারা ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা করেন/ করবেন তারা মানুষরুপী অমানুষ। আশা করি ভবিষ্যতে যে কেউ যে কোন ধরনের ক্ষতিকর কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকবেন এবং সামাজিক গণমাধ্যমটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন।

দেশে-বিদেশে বৃহত্তর নোয়াখালীর মান মর্যাদাকে তুলে ধরার যে প্রচেষ্টা আসুন আমরা হিংসা ভেদাভেদ ভুলে দলমত নির্বিশেষে সকলে মিলে সে প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করি এবং সফল হওয়ার চেষ্টা করি।

ফিডব্যাক: ০১৯৭১৩৩৯৯৩৩, ০১৬৭১৩৩৯৯৩৩ 
editor@noakhaliweb.com.bd

Tuesday, August 10, 2010

বর্ণাঢ্য উৎসবে বৃহত্তর নোয়াখালীর তিন জেলায় 'নোয়াখালী ওয়েব’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

নোয়াখালী :

বৃহত্তর নোয়াখালী কমিউনিটির অনলাইন পত্রিকা নোয়াখালী ওয়েব ৬ষ্ঠ বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে নোয়াখালী ওয়েব পাঠক ফোরাম, নোয়াখালী জেলার উদ্যোগে বুধবার বিকেল ৫টায় নোয়াখালীতে কেক কেটে উৎসবের আয়োজন করা হয়। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান শেষে বিআরডিবি প্রশিক্ষণ কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদ হাযারী। এতে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: আলমগীর ইউছুপের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াখালী ওয়েব’র সম্পাদনা পরিষদ সদস্য সাংবাদিক মাহমুদুল হক ফয়েজ, দিগন্ত টিভির নোয়াখালী প্রতিনিধি ও নোয়াখালী ওয়েব’র সম্পাদনা পরিষদ সদস্য সাইফুল্যাহ কামরুল। নাঈম উদ্দিন কিছমতের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী ওয়েব’র নির্বাহী সম্পাদক ইকবাল হোসেন মজনু।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দিগন্তের ডাক’র প্রধান নির্বাহী আবু নাছের খান পান্নু, আরটিভি’র নোয়াখালী প্রতিনিধি জামাল হোসেন বিষাদ, নোয়াখালী কম্পিউটার সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক স্বপন শাহ, সাপ্তাহিক ধূমকেতু’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক অমৃত লাল ভৌমিক সুমন, নোয়াখালী ওয়েব পাঠক ফোরাম নোয়াখালী জেলার আহবায়ক গোলাম কিবরিয়া রাফি প্রমূখ। এসময় যায়যায়দিন ও বিডিনিউজের নোয়াখালী প্রতিনিধি আবু নাছের মঞ্জু, দেশ টিভির নোয়াখালী প্রতিনিধি আকবর হোসেন সোহাগ, শীর্ষ নিউজ ডটকমের প্রতিনিধি ইয়াকুব নবী ইমন, আবদুল মোতালেব, আবদুস সালাম বাচ্ছু, প্রণব আচার্য্য সহ জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। পরে প্রধান অতিথি অন্যান্যদের সঙ্গে নিয়ে নোয়াখালী ওয়েব’র জন্মদিনের ৫টি মোমবাতি নিভিয়ে কেক কেটে সবাইকে খাওয়ান এবং সবার মাঝে কেক ও মিষ্টিসহ নাস্তা বিতরণ করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদ হাযারী বলেন, আমার চাকরী জীবনে ১৩স্থানে চাকরী করেছি, তবে নোয়াখালীই একমাত্র ব্যতিক্রম। এখানকার মানুষ গুলো খুবই বন্ধু পরায়ন। আর আজকে একটি ব্যতিক্রমী অনলাইন পত্রিকা নোয়াখালী ওয়েব’র জন্মদিনে শরিক হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। তিনি নোয়াখালী ওয়েব’র সাফল্যা কামনা করে বলেন, এটি ডিজিটাল নোয়াখালী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

সভাপতির বক্তব্যে সাংবাদিক মো: আলমগীর ইউছুপ বলেন, নোয়াখালী ওয়েব-এ নোয়াখালীর দৈনন্দিন সংবাদের পাশাপাশি, সাহিত্য সংস্কৃতি ও নিহত গুণীজনদের জীবনী প্রকাশ করে পাঠকদেরকে আরও সমৃদ্ধ করবে। তিনি নোয়াখালী ওয়েব’র উন্নতি কামনা করে এ পত্রিকার সম্পাদক ও কলা-কৌশলীদের অভিনন্দন জানান।

সাংবাদিক মাহমুদুল হক ফয়েজ বলেন, বর্তমান সরকার গত বছর বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার ঘোষণা দিয়েছে। আর আমরা নোয়াখালীবাসী পাঁচ বছর আগে নোয়াখালীকে ডিজিটাল কারার ঘোষণা দিয়ে নোয়াখালী ওয়েব সৃষ্টি করেছি। তিনি এর জন্য নোয়াখালী ওয়েব’র সম্পাদক ও প্রকাশক খালেদ সাইফুল্যাহর দীর্ঘয়ু কামনা করেন।

পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক সাইফুল্যাহ কামরুল বলেন, নোয়াখালী ওয়েব শুধু আমাদের নয় সমগ্র নোয়াখালীবাসীর পত্রিকা। এটি নিয়ে আমরা যে কোন জায়গায় গর্ব করতে পারি। তিনি এতে নোয়াখালী সবাইকে নিজ নিজ এলাকার সমস্যা সম্ভাবনা ও উন্নয়ন নিয়ে লিখার আহবান জানান।


ফেনী :

বৃহত্তর নোয়াখালী কমিউনিটির অনলাইন পত্রিকা নোয়াখালী ওয়েব ৬ষ্ঠ বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে নোয়াখালী ওয়েব পাঠক ফোরাম, ফেনী জেলার উদ্যোগে ফেনীতে আলোচনা সভা, র‌্যালী, কেক কেটে ও বেলুন উডিয়ে আনন্দ উৎসব করেছে পাঠকরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ফেনী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম। দৈনিক ফেনীর সময়’র সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ফারুক হারুন, ফেনী প্রেসক্লাবের সভাপতি একেএম আবদুর রহীম, ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাপ্তাহিক হকার্স সম্পাদক নুরুল করিম মজুমদার, ফেনী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্তাহিক জহুর সম্পাদক বখতেয়ার ইসলাম মুন্না। নোয়াখালী ওয়েব’র ফেনী প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল-মামুনের পরিচালানায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী ওয়েব’র নির্বাহী সম্পাদক ইকবাল হোসেন মজনু।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক সমকালের ষ্টাফ রিপোর্টার শাহজালাল রতন, চ্যানেল আইয়ের ফেনী প্রতিনিধি ও সাপ্তাহিক ফেনীর খবর’র সম্পাদক রবিউল হক রবি, ফেনী প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের আঞ্চলিক অফিস প্রধান মো: আবদুল হক, ফেনী পয়েট সোসাইটির সভাপতি কবি মাহবুব আলতমাস, সাপ্তাহিক বর্ণমালা ও মাসিক সরাসরি’র সম্পাদক আবু তাহের ভূঞা, ফেনী ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা কামাল বুলবুল, ফেনী প্রগ্রেসিভ লীগ (এফপিএল) এর সভাপতি কামরুল ইসলাম, কবি ইকবাল চৌধুরী, ফেনী থিয়েটারের সমন্বয়ক কাজী ইকবাল পরান প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে সাপ্তাহিক ফেনীর গৌরব’র সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের সময়ের ফেনী প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন ভূঞা, ফেনী সাহিত্য সংসদের সভাপতি সাবিহ মাহমুদ, দৈনিক যুগান্তরের দাগনভূঞা প্রতিনিধি মো: আবু তাহের, দৈনিক শোয়রবিজ কড়চা’র ফেনী প্রতিনিধি জহিরুল হক মিলুসহ ফেনী বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন ও ফেনীর নারী- শিশু সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বৃহত্তর নোয়াখালী কমিউনিটির পত্রিকা নোয়াখালী ওয়েব গণমানুষের কথা তুলে ধরে বৃহত্তর নোয়খালীর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বক্তরা আশা প্রকাশ করেন। তারা বিশ্ব ব্যাপী বৃহত্তর নোয়াখালীর খবর ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যম অনলাইন পত্রিকা নোয়াখালী ওয়েব’র প্রশংসনীয় তথ্য সেবাকে অভিনন্দন জানান। অবাধ তথ্য সেবা প্রসারে নোয়াখালী ওয়েব সকলকে পড়তে অনুরোধও করেন। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ডিজিটাল বৃহত্তর নোয়াখালী গড়ার লক্ষ্যে নোয়াখালী ওয়েবকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানায়ে এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ বিশালাকৃতির একটি কেক কেটে নোয়াখালী ওয়েব’র জন্মদিনকে উৎসব মূখর করে তোলেন। পরে অতিথিরা একে অপরকে কেক খাইয়ে দিবসটিকে স্বরণীয় করে তোলেন এবং উপস্থিত সবাইকে কেকসহ বিভিন্ন প্রকারের ফল দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি বিশালাকৃতির একটি বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও পরে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী ফেনী প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।


লক্ষ্মীপুর :

মিলনায়তনে বৃহত্তর নোয়াখালী কমিউনিটির একমাত্র অনলাইন পত্রিকা ‘নোয়াখালী ওয়েব’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক নতুন চাঁদ সম্পাদক হোসাইন আহমদ হেলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে জন্মদিনের কেক কেটে শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি নোয়াখালী ওয়েবের সম্পাদনা পরিষদের সদস্য, নোয়াখালী অঞ্চলের কৃতি সাংবাদিক ও ফিচার লেখক মাহমুদুল হক ফয়েজ। এসময় এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। পরে নোয়াখালী ওয়েব’র লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান মানিকের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী ওয়েব পাঠক ফোরাম’র লক্ষ্মীপুর জেলা আহবায়ক মোঃ জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদ, যুগ্ম আহবায়ক ও ইলেকট্রনিক্স মোবাইল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ আনোয়ারুল আজিম, নোয়াখালী ওয়েবের প্রবাস প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন, জেলা যুবলীগের আহবায়ক সাইফুল হাসান পলাশ, যুগান্তর ও এনটিভি জেলা প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক সংগ্রাম জেলা প্রতিনিধি সেলিম উদ্দিন নিজামী, দৈনিক যায়যায়দিন প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম স্বপন, কালের কন্ঠ প্রতিনিধি মীর ফরহাদ হোসেন সুমন, বেসরকারি সংস্থা সেভ’র নির্বাহী পরিচালক বনি রড্রিক্স প্রমূখ।

প্রধান অতিথি বলেন, চলমান সরকারের ভিশন-মিশন বাস্তবায়নে নোয়াখালী ওয়েব অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে। তথ্যের অবাধ সুফল ছড়িয়ে দিয়ে দেশের জনপ্রিয় এ সাইটটি ইতিমধ্যে দেশে-বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে।

বনি রড্রিক্স তার বক্তব্যে নোয়াখালী ওয়েবের ষষ্ঠ বর্ষ পেরিয়ে শতবর্ষে পৌঁছার এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

সভাপতির বক্তব্যে হোসাইন আহমদ হেলাল বলেন, অনলাইন পত্রিকা ‘নোয়াখালী ওয়েব’ আজ সর্বমহলে সমাদৃত। তিনি আশা করেন, এটি আরও দায়িত্বশীলতার সাথে এগিয়ে যাবে। বর্ণাঢ্য আয়োজনের জন্য ওয়েব পরিবারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে অনুষ্ঠানে আরও অংশগ্রহণ করেন, বেসরকারি সংস্থা জেমস’র নির্বাহী পরিচালক আসাদুজ্জামান চৌধুরী, ভয়েস’র নির্বাহী পরিচালক সামছুল আলম লিটু, এনআরডিএস’র কর্মকর্তা বাহার উদ্দিন, দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা ও লক্ষ্মীপুর বার্তার জেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, আজকের প্রত্যাশা প্রতিনিধি মোঃ ফিরোজ হাওলাদার, দেশ জনতা প্রতিনিধি আনোয়ার রহমান বাবুল, খবর প্রতিনিধি নুর আহমদ মিলন, ফোকাসবাংলা প্রতিনিধি তাপস সাহা, আলোর দিগন্ত প্রতিনিধি ইসমাইল হোসেন জবু, সোনালী বার্তা প্রতিনিধি একিউএম শাহাব উদ্দিন, সমকাল ও নোয়াখালী ওয়েব’র রায়পুর প্রতিনিধি আতোয়ার রহমান মনির, কমলনগর প্রতিনিধি সানা উল্লাহ সানু, জাতীয় নিশান প্রতিনিধি ছাইফুল্লাহ হেলাল, আমার কাগজ প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম খান প্রমূখ। শেষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

www.noakhaliweb.com.bd | www.noakhalinews.com | www.noakhali.tv