Saturday, December 29, 2007

আজ নোয়াখালী মুক্ত দিবস, ১১দিন ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শুরু



৭ ডিসেম্বর শুক্রবার নোয়াখালী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে এক রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে নোয়াখালী জেলা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয়েছিলো। মুক্তি সেনারা এ দিন মাইজদী পিটিআইতে রাজাকারদের শক্ত ঘাটির পতন ঘটিয়ে নোয়াখালীর মাটিতে উড়েছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় পতাকা। জেলা শহর মাইজদী কোর্ট এবং আশপাশের জনপদ একাত্তরের এ দিনে ভোর না হতেই বিজয়ের আনন্দে জয়বাংলা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছিলো। ২৫ মার্চের পর মুক্তিযোদ্ধারা প্রায় একমাস নোয়াখালীকে মুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছিলো। এরপর প্রতিপদে বাধা পেয়ে বহু কষ্টে পাকিস্তানীরা ২৩ এপ্রিল নোয়াখালী দখল করে নেয়। এরপর দেশের অভ্যন্তরে এবং ভারত থেকে পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ নিয়ে আবার অস্ত্র হাতে মাঠে নামে মুক্তিযোদ্ধারা। সাথে ছিল এফএফ ও বিএলএফ। অনেক রক্ত আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে ৪ ডিসেম্বর সমস্ত পরিকল্পনা চুড়ান্ত করে ৫ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের সব দল এক সাথে মাইজদী কোর্ট আক্রমন করে। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনী কতৃক শহর ঘিরে ফেলার সংবাদ পেয়ে উত্তর দিক দিয়ে পালিয়ে বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ি হয়ে লাকসাম অতিক্রম করে কুমিল্লা ক্যান্টেনমেন্টে আশ্রয় নেয়। কিন্তু জেলার বিভিন্ন ক্যাম্পে দুই শতাধিক রাজাকার পিটিআই ক্যাম্পে থেকে যায়। তাদের পরাভূত করতে দুই দিন যুদ্ধ করতে হয়। অবশেষে ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা নোয়াখালীর মুক্ত আকাশে উড়িয়ে দেয় স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় পতাকা। এ উপলক্ষে নোয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১১দিন ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শুরু হচ্ছে শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে। মুক্ত নোয়াখালী স্মারকস্তম্বে শুক্রবার বিকাল ৩টায় এ মেলার উদ্বোধন করবেন কোম্পানীগঞ্জের বাঞ্চারামযুদ্ধে শহীদ ওহিদুর রহমান অদুদের বড়ভাই মোঃ বদিউর রহমান ও বৃহত্তর নোয়াখালী মুজিব বাহিনীর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেলায়েত। অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি ফজলে এলাহীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাকবেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুল কবির চৌধুরী। মেলা পরিচালনার জন্য নোয়াখালী কামন্ডার মোজাম্মেল হক মিলনকে আহবায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোয়াররফ হোসেনকে যুগ্ম আহবায়ক করে জেলার সাংবাদিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ এর সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। মেলায় অর্ধ শতাধিক স্টলে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন মুহুর্তকে উপস্থাপন করা হয়েছে। মেলায় প্রতিদিন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। আজ (শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর) কোম্পানীগঞ্জে ও মুক্ত দিবস। এ উপলক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আবু নাছের জানান, শুক্রবার সকাল ৭টায় ১৬ নাম্বার সুইচ গেইটে মুক্তিযোদ্ধাদের কবর জেয়ারত ও পূষ্পমাল্য অর্পন, ১০টায় র্যালী শেষে উপজেলা শহীদ মিনারে পূষ্পমাল্য অর্পন ও আলোচনা সভা করবেন। ১৯৭১ সালের এ দিনে মুক্তিযোদ্ধারা বর্তমান কোম্পানীগঞ্জ থানায় স্থাপিত রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমন করে পাকমিলিশিয়া বাহিনীর ৯০জন সশস্ত্র সদস্যকে আত্মসমর্পনে বাধ্য করে কোম্পানীগঞ্জকে মুক্ত ঘোষনা করে। এর আগে ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী দেশ ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিলে ওই রাতেই এ অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকার ক্যাম্পগুলোতে আক্রমন করে হানাদার বাহিনীর সদস্যদেরকে পরাজিত করে। সেই থেকে ৭ ডিসেম্বর কোম্পানীগঞ্জের ইতিহাসে একটি অবিস্মরনীয় দিন হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। সশস্ত্র সংগ্রামের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ওই লড়াইয়ে অংশগ্রহণকারী ও ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান বলেন, ১৯৭১সালের ৪ সেপ্টেম্বর এ অঞ্চলের কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাবাজারে অভিযানে যায়। কিন্তু পাকমিলিশিয়ারা মুক্তি বাহিনীর আগমন বার্তা পেয়ে স্থান ত্যাগ করে ১৪নাম্বার সুুইচ-এ বাঞ্চারাম রাস্তার মাথায় বেড়ীবাঁধের উপর ওঁতপেতে থাকে এবং রাজ্জাকের নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধারা ফিরে আসার সময় অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে অংশ গ্রহণকারী ১১জন বীর যোদ্ধার মধ্যে ৬জনই ঘটনাস্থলে নিহত হয়। নিহত ৬জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে বেগমগঞ্জের ছালেহ আহম্মদ মজুমদার, আখতারুজ্জামান লাতু, সোনাপুরের আবদুর রব বাবু, সিরাজপুরের ইসমাইল এবং মুছাপুরের মোস্তফা কামাল ভুলুর লাশ ১৬নং স্লুইচে দাফন করা হয়। এ ছাড়া নিহত ফারুকের লাশ নদীতে পড়ে ভাটার টানে চলে যাওয়ায় পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।

Monday, October 8, 2007

অন্তহীন সমস্যায় জর্জরিত সোনাইমুড়ী সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, কতৃপক্ষ নজর দিবেন কি?



সাইফুল্যাহ কামরুল : জীর্ণশীর্ণ অফিস কার্যালয়, প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত সোনাইমুড়ী উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসটি। ধূঁকে ধূঁকে যার সমস্ত কাঠ টিন ঝরে পড়ছে। শত বছর পার হয়ে গেলে ও এই সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ছিঁটে ফোটা উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। অপরদিকে এই অফিসের নিরাপত্তা বেস্টনি না থাকায় স্থানীয় এক শ্রেনীর ভূগ্রাসী চক্র দিনদিন যেমন এর মূল্যবান সম্পত্তি দখল করার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে অপরদিকে অরক্ষিত স্থানটিতে দিনে রাতে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে। জানা গেছে, ১৯০৬ সালে প্রায় ১ একর ৮৪ শতাংশ ভূমির ওপর সোনাইমুড়ী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসটি স্থাপিত হয়। বর্তমানে এর আওতায় নবগঠিত সোনাইমুড়ী উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার সকল জমি ক্রয়-বিক্রয় কাজ সম্পাদন করা হয়। প্রতি মাসে কয়েকশ' দলিলের কাজ সম্পাদন করে সরকারি কোষাগারে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব জমা দিলে এর ভাগ্যে সিকি পয়সার উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বেশ কয়েকবার সোনাইমুড়ী সাব -রেজিস্ট্রি অফিসের জীর্ণশীর্ণ টিন শেড দিয়ে তৈরী কার্যালয়ের স্থলে নতুন পাকা ভবন নির্মানের জন্য টাকা বরাদ্দ করে সরকার। কিন্তু পরে সেই বরাদ্দকৃত টাক পাশ্ববর্তী চাটখিল উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আবার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নিরাপত্তা বেস্টনি নির্মানের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হলেও সেই টাকা পাশ্ববর্তী সেনবাগ উপজেলা রেজিস্ট্রি অফিসের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এভাবে বার বার টাকা বরাদ্দ আসলেও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রভাবে সোনামুড়ী সাব-রেজিস্ট্রি অফিস রয়ে গেছে অবহেলিত। পাশ্ববর্তী সকল উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলো পাকা ভবন হলেও এখানকার অফিসটি জীর্ণশীর্ণ টিনশেডেই রয়ে গেছে। অথচ এর বছরের রাজস্ব আয় অন্যান্যদের চেয়ে কম নয়। পুরাতন টিনশেড ঘরে বর্তমানে এখানে যাবতীয় কাজ সম্পাদন করতে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলে পানিতে এখানকার মূল্যবান দলিলপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। স্টোর রুম না থাকায় প্রয়োজনীয় দলিলপত্র যেখানে সেখানে রাখার কারনে দৈনন্দিন যাবতীয় কাজ করতে সকলকে সমস্যায় পড়তে হয় এবং মূল্যবান দলিলপত্রও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে এখানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাঁদা তুলে সামান্য কিছু কাজ করে থাকেন। বর্তমানে এ অফিসে ২৫ জন দলিল সম্পাদনের কাজ করার কাজে নিয়োজিত থাকলেও তার মধ্যে ১৯ জন নকলনবীশ অস্থায়ী অবস্থায় আছে। এই অস্থায়ী নকলনবীশরা নানাবিধ কস্টে বসে কাজ করে থাকে। এ ব্যপারে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অস্থায়ী নকলনবীশ ও সোনাইমুড়ী পৌরসভার কমিশনার বদরুল আলম জানান, স্থাণীয় বিভিন্ন সময়ে নির্বাচিত সাংসদদের ব্যর্থতার কারনে বরাদ্দকৃত টাকা অন্যত্র নিয়ে গেছে। তিনি আরো জানান, বিশাল এ সম্পত্তির নিরাপত্তা বেস্টনী না থাকায় স্থাণীয় এক শ্রেনীর ভূমি লিপ্সু দখলদার চক্র দিন দিন এই সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মূল্যবান সম্পত্তি দখল করার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে। অরক্ষিত এই এলাকায় দিনে ও রাতে নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলায় ও মাদক সেবীদের জমজমাট বেচাকেনার স্থানে পরিনত হয়েছে। অপর নকল নবীশ মাইনউদ্দীন জানান, বিভিন্ন খাত থেকে প্রতিমাসে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ও বেশী এই রেজিস্ট্রি অফিস থেকে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়। অতচ এর অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন এ পর্যন্ত হয়নি। সোনাইমুড়ী সাব-রেজিস্ট্রার অমরেন্দ্র লাল ভৌমিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এর উন্নয়ন কাজের জন্য বার বার বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে পত্র দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। তিনি আরো জানান, অমানবিক কষ্ট করে তারা এখানে সকলে কাজ করছেন। এছাড়া জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা বৃদ্ধ পুরুষ ও মহিলাদের সবচেয়ে বেশী কষ্ট করতে হয়। তাদের বসার জন্য কোন বিশ্রামাগার, টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। তিনি এই কার্যালটির যাবতীয় উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Wednesday, September 19, 2007

দেশীয় চোর আর আন্তর্জাতিক হ্যাকারের আক্রমনে নোয়াখালী ওয়েব, পাঠকদের কাছে জবাবদিহিতা


১৫ আগষ্ট বুধবার দেশীয় কিছু চোর আর আন্তর্জাতিক একজন হ্যাকারের কবলে পড়ে নোয়াখালী ওয়েব। ঘটনার দিন সন্ধায় টেকনোল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নোয়াখালী ওয়েবের সম্পাদকের ব্যক্তিগত ইমেইল এড্রেস হ্যাকিং (চুরি) হয়ে যায়। যেহেতু এই ইমেইল এড্রেসটি টেকনোল্যান্ডের ডোমেইন এবং হোস্টিং কোম্পানীতে এডমিন ইমেইল হিসাবে ব্যবহৃত সেহেতু টেকনোল্যান্ডের ডোমেইন সাইট এবং হোস্টিং এর কন্ট্রোল ও হ্যাকার এর কবলে পড়ে। এতে করে নোয়াখালী ওয়েব এবং নোয়াখালী ওয়েব অনলাইন গ্রুপ সহ টেকনোল্যান্ডের তৈরী করা বেশ কিছু কর্পোরেট ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যায়। যাদের মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম একটি সংগঠন বাংলাদেশ ক্যবল অপারেটর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব), বাংলাদেশ ক্যাবল টিভি দর্শক ফোরাম, ট্রান্স কন্টিনেন্টাল শিপিং লাইন লিমিটেড, রাইটক্লিক লিমিটেড, এ্যালোহা আইশপ, ডবি্লও এনবি নিউজ ইত্যাদি। হ্যাকার কতৃক আক্রান্ত হওয়ার পর সবগুলো ওয়েব সাইট এর ডাটাবেইজ মুছে ফেলে দিয়ে পর্ণো ওয়েব সাইট লিংক করে দেয়া হয়েছে। এতে করে করে একদিকে যেমন লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে পাশাপাশি পর্ণোসাইট প্রদর্শিত হওয়ায় ওয়েবসাইট গুলোর সাথে জড়িত ভিজিটররা বিভ্রান্ত হয়েছে এবং হচ্ছে এছাড়া স্ব স্ব কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হচ্ছে। ওয়েবসাইটগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে এবং ভিজিটরদের সাইট ভিজিট করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা যাছে। আরেকটি ব্যাপার হল হ্যাকিং হওয়া ইমেইলটি ব্যবহার করে টেকনোল্যান্ড এর সকল ক্লাইন্ট , নোয়াখালী ওয়েব এর সকল পাঠক এবং হ্যাকিং হওয়া ইমেইলের মধ্যে স্টোরেজ করা সকল ঠিকানায় একটি ইমেইল প্রেরণ করা হয়। যাতে টেকনোল্যান্ড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নোয়াখালী ওয়েবের সম্পাদক সম্পর্কে বিভ্রান্তি চড়ানো হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট গল্প। শুধু তাই নয় ইমেইল এর সাথে এমন একটি লিংক প্রেরণ করা হয় যাতে ক্লিক করা মাত্র স্ব স্ব কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে, যার নং ১১০১, তারিখ : ১৮/১/২০০৭ ইং এবং ১৯/৮/২০০৭ ইং তারিখে রাব-৩ এর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান জনাব জেনারেল মইন উ. আহম্মেদ এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি দেয়া হয়েছে। গত ২১ আগষ্ট দৈনিক যুগান্তর এবং ২২ আগষ্ট দৈনিক আমাদের সময়ে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়। থানার সাধারণ ডায়েরী এবং রাবের কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগের সূত্র ধরে জানা যায়, গত কিছুদিন ধরে নোয়াখালীর একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব নুরুল আলম মাসুদ নোয়াখালী ওয়েব সম্পর্কে বিভিন্ন জনের কাছে বিষেদাগার ছড়িয়ে আসছেন। সমপ্রতি নোয়াখালীর আরেকটি উন্নয়ন সংস্থা এনআরডিএস এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ছেলে জনাব সুমিত আওয়াল নোয়াখালী যান এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নুরুল আলম মাসুদের সাথে বৈঠক করেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া জনাব সুমিত আওয়াল নিজেও নুরুল আলম মাসুদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতার কথা নোয়াখালী ওয়েব এর সম্পাদককে জানান। নোয়াখালী থেকে ফিরে আসার পর জনাব সুমিত আওয়াল আহমেদ নিতুল নামে পূর্ব পরিচিত আরেকজন ছেলে (ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ডিপুটি পরিচালক এর ছেলে) সহ ঘন ঘন নোয়াখালী ওয়েব অফিসে আসতে থাকেন এবং বিভিন্ন ছলছূতায় অফিসের কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। বিষয়টি নোয়াখালী ওয়েবের সম্পাদকের কাছে সন্দেহজনক মনে হলেও সৌজন্যের খাতিরে কিছু বলতে পারেননি। সর্বশেষ তারা যেদিন এসেছিলেন তার কিছুদিন পর ডেভিড রিক্যাচ নামে একজন আমেরিকান নোয়াখালী ওয়েব এ বিজ্ঞাপন দেয়ার কথা বলে সম্পাদক বরাবর একটি মেইল করে। সম্পাদক একটি অফার লেটার প্রেরণ করলে উক্ত ডেভিড জানায় সে নোয়াখালী ওয়েবের উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞাপন দিবে। ঘটনার দিন সম্পাদক যখন বুঝতে পারে বিষয়টা সম্পূর্ণ মিথ্যা তথক্ষনে আন্তর্জাতিক হ্যাকার ডেভিড অনেককিছু তার দখলে নিয়ে নেয়। মিঃ সুমিত ব্যক্তিগত জীবনে ওয়েব হোস্টিং এর ব্যবসা করে। বাংলাদেশে যারা ইন্টারনেট এক্সপার্ট তাদের মধ্যে মিঃ সুমিত এবং তার সহযোগী আহমেদ নিতুল অন্যতম। অবশ্য তাদের এ মেধা ভালো কোন কাজে ব্যবহার করা হয়না। জানা যায় মিঃ সুমিত এবং আহম্মেদ নিতুল বাংলাদেশে ইন্টারনেট হ্যাকার (চোর) দের যে গ্রুপ রয়েছে তার সক্রিয় সদস্য। ইন্টারনেটে সার্চ করলে তাদের সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। এছাড়া মিঃ সুমিত নোয়াখালী গ্রুপ নামে একটি ইয়াহু গ্রুপ পরিচালনা করে আসছেন ২০০৪ সাল থেকে। এদিকে নোয়াখালী ওয়েব গ্রুপ ২০০৬ সালে শুরু করলেও কার্যক্রম এবং সদস্যদের দিক দিয়ে নোয়াখালী গ্রুপ থেকে অনেকদূর এগিয়ে যায়। নোয়াখালী ওয়েব এবং নোয়াখালী ওয়েব অনলাইন গ্রুপের সাফল্যে ইর্ষাকাতর হয়ে এবং অভিযুক্ত নুরুল আলম মাসুদের প্ররোচণায় ও আর্থিক সহায়তায় মিঃ সুমিত এ ধরনের ধ্বংসাত্বক কার্যক্রমে লিপ্ত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মিঃ সুমিত যেহেতু হ্যাকার চক্রের সাথে জড়িত সেহেতু আন্তর্জাতিক হ্যাকার ডেভিড এর সহায়তা নিয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এছাড়া আহম্মেদ নিতুল নামে ছেলেটি তথ্য পাচার এর দায়িত্বে ছিল বলে সম্পাদক মনে করেন। এ ঘটনার সময় মিঃ নুরুল আলম মাসুদ ঢাকায় অবস্থান করছিলেন এবং বিভিন্ন জনকে ফোন করে খবরটি দেয়ার ব্যাপারে উৎসাহী হয়ে উঠেন। এদিকে যেসময় নোয়াখালী ওয়েব সহ নোয়াখালী ওয়েব অনলাইন গ্রুপ আক্রান্ত হয় ঠিক একই সময়ে মিঃ সুমিত এর পরিচালনাধীন নোয়াখালী গ্রুপ এর নাম পরিবর্তন করে নোয়াখালী অনলাইন গ্রুপ রাখা হয় যা নোয়াখালী ওয়েব অনলাইন গ্রুপ এর সাথে সাঞ্জস্যপূর্ণ। ঘটনার আগে মিঃ সুমিত কারণে অকারণে নোয়াখালী ওয়েব অফিসে আসলেও ঘটনার পর একবার ও নোয়াখালী ওয়েব অফিসে আসেননি কিংবা সম্পাদককে ফোন করে সমবেধনাটুকুও জানাননি। এতে করে প্রতিয়মান হয় নোয়াখালী ওয়েব , নোয়াখালী ওয়েব অনলাইন গ্রুপ এবং অন্যান্য সাইটগুলো হ্যাকিং (চুরি) এর ব্যাপারে মিঃ সুমিত আওয়াল এবং মিঃ নুরুল আলম মাসুদ সম্পূর্ণ রুপে জড়িত। যেহেতু বাংলাদেশে কোন সাইবার ল' (আইন) নাই সুতরাং জড়িতদের বিরুদ্ধে এখনই কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। সুতরাং অপরাধীদের বিচারের ভার নোয়াখালী ওয়েবের অগনিত পাঠক এবং সুভাকাংখীদের উপর অর্পন করা হল। নোয়াখালী ওয়েব এর মত একটি সামাজিক সাইট বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা বৃহত্তর নোয়াখালীবাসীর উপর একটি আঘাত বলে আমরা মনে করি। তাই এ ধরনের চক্রান্তকারীদের থেকে সতর্ক থাকার জন্য বৃহত্তর নোয়াখালীবাসীর সকল জনসাধারণ, দেশে বিদেশে অগনিত পাঠক ও শুভাকাংখীদের প্রতি অনুরোধ করা যাচ্ছে। যেহেতু আমাদের প্রিয় অনলাইন গ্রুপটির নিয়ন্ত্রন এখন হ্যাকারের হাতে সুতরাং সবাইকে গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। শীঘ্রই আমরা নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব যার মাধ্যমে আমরা বৃহত্তর নোয়াখালীবাসী একে অপরের সাথে যোগাযোগ গড়ে তুলতে সক্ষম হব। পাঠকদের ভালোবাসাই আমাদের অনুপ্রেরনা। তাই নতুন ঠিকানায় আমরা আবার ফিরে এসেছি। চুড়ান্তভাবে আগামী ১সেপ্টেম্বর থেকে আমাদের নিয়মিত প্রকাশনা শুরু হবে। আপনাদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দূঃখিত। আপনাদের সহযোগিতা থাকলে নোয়াখালী ওয়েবকে আমরা একটি সুনির্দিষ্ট গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারব।



আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।






সম্পাদক নোয়াখালী ওয়েব






+৮৮ ০১৭২০১২৪২০৪