Tuesday, September 23, 2008

পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বিজেম হবে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা শিক্ষার একটি আর্দশ প্রতিষ্ঠান -নির্বাহী পরিচালক মির্জা তারেকুল কাদের



সাংবাদিকতাসহ গণযোগাযোগের সকল শাখায় মানসম্পন্ন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া (বিজেম)। আধুনিক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রকাশনা ও গবেষণামূলক এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয় সম্পূর্ণ বেসরকারী উদ্যোগে। ২০০৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন জার্নালিজম বিষয়ে অধিভুক্ত এ প্রতিষ্ঠানটি গণমাধ্যম বিষয়ে বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি ইনস্টিটিউট। বৃহত্তর নোয়াখালীর (লক্ষ্মীপুর জেলার, রামগঞ্জ উপজেলা) কৃতি সন্তান সাংবাদিক, জনসংযোগবিদ, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মির্জা তারেকুল কাদের এ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সমপ্রতি নোয়াখালী ওয়েবের সম্পাদক খালেদ সাইফুল্যাহ 'বিজেম' নিয়ে কথা বলেন নির্বাহী পরিচালক মির্জা তারেকুল কাদেরের সাথে। এ প্রসঙ্গে নিয়ে তিনি জানান, বিজেম পরিচালিত 'সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা' দেশে সাংবাদিকতা শিক্ষার প্রসারে ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখছে। এছাড়া স্বল্প মেয়াদী অন্যান্য কোর্স সম্পন্ন করেও শিক্ষার্থীদের অনেকেই বেকারত্বের দূর্বিসহ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি বলেন, কোন প্রকার সরকারী অনুদান ছাড়াই এ ইনস্টিটিউট গত ৫ বছরে যে সাফল্য অর্জন করেছে তা সম্পূর্ণরুপে ব্যক্তি উদ্যোগেই হয়েছে। আমরা এ ইনস্টিটিউটকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা শিক্ষার একটি আর্দশ ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। কিন্তু প্রতিনিয়ত আমাদেরকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে আর্থিক সমস্যাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। আমরা এখনো বাংলাদেশ সরকার অথবা বিদেশী দাতা সংস্থাগুলো হতে কোন প্রকার অনুদান বা সাহায্য পাইনি। ইলেক্ট্রনিক সাজসরঞ্জামের অভাবে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা, বিদেশী সাহায্য, এবং বিদ্যেৎসাহী ও সংস্কৃতিমনা দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতা পেলে এ ইনস্টিটিউটকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা শিক্ষার একটি আর্দশ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব বলে জানালেন নির্বাহী পরিচালক। তিনি আরো জানান, ইনস্টিটিউট পরিচালনার জন্য রয়েছে একটি গভর্নিং বডি ও একটি উপদেষ্টা পরিষদ। গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি, বিদোৎসাহী ও সমাজসেবক জনাব আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবে রয়েছেন শিল্পপতি জনাব এস.এম.এমদাদুল ইসলাম ও শিল্পপতি জনাব নিসার আহমেদ। উপদেষ্টাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত আলী খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দি নিউজ টুডে সম্পাদক জনাব রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, এটিএন বাংলার চীফ এ্যাডভাইজার জনাব সাইফুল বারী এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি জনাব শওকাত মাহমুদসহ আরো কয়েকজন বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ ও বিদোৎসাহী।
ইনস্টিটিউটের লক্ষ্য : এ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশে সাংবাদিকতা, জনসংযোগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সম্পাদনা ও প্রকাশনা, চলচ্চিত্র, বিজ্ঞাপনকলা, ফটোগ্রাফী প্রভৃতি বিষয়ে কর্মমুখী, আধুনিক এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, মৌলিক গবেষণা পরিচালনা এবং উল্লেখিত বিষয়ের উপর গ্রন্থ ও জার্নাল প্রকাশ করা। সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা (পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন জার্নালিজম) : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০০৪-৫ শিক্ষাবর্ষ হতে বিজেম সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা কোর্স চালু করে। প্রথম ব্যাচে ৪ জন ছাত্রীসহ মোট ৩৭ জন শিক্ষার্থী কোর্সটি সম্পন্ন করেছে।
প্রশিক্ষণ কোর্স : ডিপ্লোমা ছাড়াও এই ইনস্টিটিউট ইতোমধ্যে সাংবাদিকতা এবং গণযোগাযোগের বিভিন্ন বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ কোর্স সফলভাবে সমাপ্ত করেছে। এসব কোর্সের মধ্যে রয়েছে, বেতার ও টেলিভিশনে সংবাদ উপস্থাপনা, টেলিভিশন সাংবাদিকতা, আধুনিক জনসংযোগ ও জনসংযোগের কলাকৌশল, ফ্রি-ল্যান্স সাংবাদিকতা, কলাম লেখার কলাকৌশল, প্রেস রিলিজ লিখন কৌশল ও ছবি সম্পাদনা, ফটো সাংবাদিকতা ও ডিজিটাল ফটোগ্রাফী, লেখালেখির কলাকৌশল, স্পোকেন ইংলিশসহ অন্যান্য কোর্স। এসব কোর্সের প্রত্যেকটিই শিক্ষার্থীদের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়েছে। অর্জন ও
সাফল্য : প্রশিক্ষণ প্রদানের ক্ষেত্রে বিজেম ইতোমধ্যে বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে। বিগত ৫ বছরে কোন প্রকার সরকারি ও বিদেশী দাতা সংস্থার সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়াই এই প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৫শ' শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। প্রশিক্ষণ লাভকারীদের মধ্যে রয়েছেন চাকুরীজীবী, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, জনসংযোগ কর্মকর্তা, গৃহিনী, সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তা। এদের প্রায় ১শ' জন এখন বিটিভি, এনটিভি, এটিএন বাংলা, ইটিভি, আরটিভি, চ্যানেল আই, চ্যানেল ওয়ান, বৈশাখী টেলিভিশন, বাংলাভিশন, দিগন্ত টিভিসহ অন্যান্য স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোতে এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারী রেডিওতে টিভি সাংবাদিকতা, সংবাদ উপস্থাপনা, অনুষ্ঠান উপস্থাপক হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন জাতীয় সংবাদপত্রে স্টাফ রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর, কলামিস্ট, ফ্রি-ল্যান্স সাংবাদিক ও লেখক হিসেবে কাজ করছেন; যা প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে এ ইনস্টিটিউটের সফলতাই প্রমাণ করে।
প্রকাশনা ও গবেষণা : প্রকাশনা ও গবেষণা ক্ষেত্রে বিজেম ইতোমধ্যে 'জনসংযোগ ও প্রকাশনা' শীর্ষক একটি বৃহৎ সংকলন গ্রন্থ (৫২০ পৃষ্ঠা) প্রকাশিত হয়েছে। এটি সম্পাদনা করেছেন ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মির্জা তারেকুল কাদের। এছাড়া প্রকাশিত হয়েছে 'পাবলিক রিলেসন্স এন্ড মিডিয়া ডাইরেক্টরী' (২০০৪ ও ২০০৫)। এ ২টি প্রকাশনাই সুধীজন ও পাঠক কর্তৃক ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।
রিসোর্স পার্সন ও প্রশিক্ষক : কোর্স পরিচালনার জন্য ইনস্টিটিউটের রয়েছে দক্ষ, অভিজ্ঞ এবং দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত উচ্চ শিক্ষিত প্রশিক্ষক। নিজস্ব প্রশিক্ষক ছাড়াও অন্যান্য প্রশিক্ষকবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন: প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত স্বনামধন্য সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক, খ্যাতনামা সংবাদ উপস্থাপক ও টিভি ব্যক্তিত্ব, প্রখ্যাত লেখক, উচ্চারণ বিশেষজ্ঞ, ক্যামেরাম্যান, ভিডিও এডিটর এবং তথ্য ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞগণ।
শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত সুবিধা সমূহ : ইনস্টিটিউটের রয়েছে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, সনি হ্যান্ডিক্যাম, প্যানাসনিক ডিভি ক্যাম, ওভার হেড প্রজেক্টরসহ আধুনিক ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জামাদি, সাউন্ড সিস্টেম, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কনফারেন্স রুম ও ক্লাশ রুম। এছাড়াও রয়েছে দেশী-বিদেশী বইয়ে সম্মৃদ্ধ আধুনিক লাইব্রেরীসহ ইন্টারনেট সুবিধা। আর্থিকভাবে অসচ্ছল কিন্তু মেধাবী এমন ছাত্র-ছাত্রী, লেখক ও সাংবাদিকদের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এ ক্ষেত্রে কতৃপক্ষ কোর্স ফি'র একটি নির্দিষ্ট অংশ ছাড় দিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও উৎসাহিত করে। ভবিষ্যৎ
কর্মপন্থা : সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা ছাড়াও ভবিষ্যতে বিজেম আরো কয়েকটি কোর্স পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে একটি হলো গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞানে মাস্টার্স কোর্স চালু। এছাড়া ডিজিটাল ভিডিও এডিটিং, ক্যামেরা অপারেশন্স, ডিজিটাল ফটোগ্রাফি, বিজ্ঞাপনকলা, চলচ্চিত্র নির্মাণ, সম্পাদনা ও প্রকাশনার কলাকৌশল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রভৃতি বিষয়ে নতুন নতুন প্রশিক্ষণ কোর্স প্রদানের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
যোগাযোগ, নির্বাহী পরিচালক, বিজেম, ২৫৭/৮ এলিফ্যান্ট রোড, কাটাবন ঢাল, ঢাকা-১২০৫। ফোন : ৮৬১৭৯১২, ৯৬৭৪২২৪

Friday, September 12, 2008

বৃহত্তর নোয়াখালীর সংবাদ, সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্রের উন্নয়নে নোয়াখালী ওয়েব

 www.noakhaliweb.com.bd :: নোয়াখালী বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটি জেলা। প্রশাসনিক ভাবে বর্তমানে নোয়াখালী (নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর) তিন জেলায় বিভক্ত হলেও এ অঞ্চলের মানুষের কৃষ্টি কালচার একই রকম এবং সারাবিশ্বে 'নোয়াখাইল্লা' হিসাবেই এ অঞ্চলের মানুষ বিশেষভাবে পরিচিত। মেধাবী ও সৃষ্টিশীল হিসাবে এ অঞ্চলের মানুষের রয়েছে বিশ্ব স্বীকৃতি। শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, প্রশাসন, ব্যবসা-বানিজ্য সর্বক্ষেত্রে নোয়াখালীর মানুষের অবদান অনস্বীকার্য। কথিত আছে জাতীয় অর্থনীতির ৩৫% নিয়ন্ত্রন করে নোয়াখালীর লোকজন। শুধু দেশে নয় বিদেশেও সমান কৃতিত্বের সাথে নোয়াখালীর মানুষ বরাবরের মত বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছে। জীবন জীবিকার প্রয়োজনে দেশে এবং বিশ্বের সর্বত্র এ অঞ্চলের মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কিন্তু যে যেখানেই অবস্থান করুকনা না কেন নিজ এলাকার প্রতি টান এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়। ফলে বৃহত্তর এ জনগোষ্ঠীর তথা বৃহত্তর নোয়াখালীর মানুষকে স্থানীয় ও কমিউনিটির খবরা-খবর তাৎক্ষণিকভাবে প্রদান করার লক্ষ্য নিয়ে সাংবাদিক খালেদ সাইফুল্যাহ'র ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২০০৫ সালে অনলাইন পত্রিকা নোয়াখালী ওয়েবের যাত্রা শুরু হয়।

নোয়াখালী ওয়েব যখন কাজ শুরু করে তখন বাংলাদেশে অনলাইন পত্রিকার ধারনাটা একেবারেই নতুন এবং তখন পর্যন্ত বিডিনিউজ২৪.কম অনলাইনে তাদের নিউজ প্রকাশ করত। এজন্য প্রায় ১ বছর নোয়াখালী ওয়েব মানুষের মাঝে ইয়াহু অনলাইন গ্রুপ পরিচালনা সহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে শুধুমাত্র অনলাইন পত্রিকা সম্পর্কে ধারণা/সচেতনতা তৈরী করার জন্য কাজ করে। ২০০৬ সালের শুরু থেকে পত্রিকাটি নিউজ প্রকাশনা শুরু করে। সংবাদ প্রকাশনা শুরু করার খুব অল্প সময়ের মধ্যে নোয়াখালী ওয়েব বৃহত্তর নোয়াখালীসহ বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিশেষভাবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। উল্লেখ্য বাংলাদেশের অঞ্চলভিত্তিক এটাই প্রথম কোন অনলাইন পত্রিকা যারা ২৪ ঘন্টা সংবাদ প্রদান করছে। অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি বর্তমানে নোয়াখালী ওয়েব স্থানীয় দৈনিক/সাপ্তাহিক/মাসিক পত্রিকাগুলোকে ফ্রি! নিউজ সার্ভিস প্রদান করছে। এতে করে স্থানীয় পত্রিকাগুলো আরো বেশি তথ্য সমৃদ্ধ হচ্ছে। ইতোমধ্যে বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রথম দৈনিক জাতীয় নিশান, দৈনিক লক্ষ্মীপুর কন্ঠ, সাপ্তাহিক নোয়াখালী কন্ঠ সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকা নোয়াখালী ওয়েব'র নিউজ সার্ভিস গ্রহণ করছে।

২০০৭ এর ১৫ই আগষ্ট নোয়াখালী ওয়েব এর সাইটটি হ্যাকার দ্বারা আক্রান্ত হয়। নোয়াখালী ওয়েব এর অগ্রযাত্রায় ইশ্বান্বিত হয়ে স্থানীয় ও আন্তজার্তিক একটি গোষ্ঠী নোয়াখালী ওয়েবসাইট কে আক্রমন করে এবং সাইটে পর্ণ ছবি জুড়ে দেয়। যা তখকার সময়ে ব্যাপক মানসিক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এ নিয়ে তখন বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে ফলাওভাবে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। ১৫ দিন বন্ধ থাকার পর ১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ থেকে নতুন ওয়েব ঠিকানায় নোয়াখালী ওয়েবের পূনরায় প্রকাশনা শুরু হয়। দেশ বিদেশে বৃহত্তর নোয়াখালীর অগনিত মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় মাত্র ছয়মাসের মধ্যে নোয়াখালী ওয়েব আগের তুলনায় আরো অনেক বেশি পাঠক প্রিয়তা অর্জন করে। ইতোমধ্যে পাঠক চাহিদার কথা বিবেচনা করে নোয়াখালী ওয়েব স্থানীয় সংবাদের পাশাপাশি জাতীয় সংবাদও প্রকাশ করা শুরু করে। এতে করে বৃহত্তর নোয়াখালীর বাহিরে অন্যান্য জেলার মানুষের কাছেও নোয়াখালী ওয়েব ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ফলশ্রুতিতে বর্তমানে বিশ্ববিখ্যাত এলাক্সা র্যাংকিং অনুযায়ী নোয়াখালী ওয়েব বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অনলাইন পত্রিকা (প্রথম : বিডিনিউজ২৪.কম, তৃতীয় : দি-এডিটর)। যা নোয়াখালীবাসীর জন্য গর্ব করার মত একটা বিষয়।

আপনার এলাকা, আপনার সংবাদ এ শ্লোগানকে ধারণ করে বর্তমানে নোয়াখালী ওয়েবের পাঠক সংখা দৈনিক প্রায় ২১,০০০ (একুশ হাজার, গত ছয় মাসের হিসাব অনুযায়ী) এবং প্রতিদিন এ সংখ্যা বাড়ছে। গত ১ এপ্রিল ২০০৮ থেকে নোয়াখালী ওয়েব পাঠকদের জন্য নিবন্ধন সিস্টেম চালু করলে বর্তমানে প্রায় ২০০০ পাঠক নিবন্ধিত হয়েছেন। এ পাঠক সংখার ৩০% আমেরিকা থেকে, ৩৫% মধ্যপ্রাচ্য থেকে এবং বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশ থেকে ৩৫%।

নোয়াখালী ওয়েব এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য : (১) বৃহত্তর নোয়াখালীর স্থানীয় এবং দেশ বিদেশের বৃহত্তর নোয়াখালীর কমিউনিটির খবর তাৎক্ষনিকভাবে অনলাইনে প্রকাশ করা। এক্ষেত্রে পত্রিকাটির সম্পাদকীয় নীতি হচেছ বেশি বেশি ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করা, যে সংবাদ মানুষের মাঝে অনুপ্রেরণা যোগায়। (২) স্থানীয় পত্রিকাগুলোর মান উন্নোয়নে ফি! নিউজ সার্ভিস প্রদানের মধ্যদিয়ে তাদের প্রকাশনায় সহায়তা করা এবং স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন ইস্যু যেমন শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য, তথ্য প্রযুক্তি, মানবাধিকার, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ইত্যাদি বিষয়ে সমন্বিত লেখা প্রকাশ ও বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে স্থানীয় জনসাধারণকে সচেতন করে তোলা। যাতে করে জনসাধারণ গণ মাধ্যমের সত্যিকারের সুফল ভোগ করতে পারেন। (৩) দেশে এবং বিদেশে বৃহত্তর নোয়াখালীর মানুষে মানুষে, কোথাও কোথাও সংগঠনের সাথে সংগঠনের, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের সেতু বন্ধন তৈরী করা যাতে করে আঞ্চলিক উন্নয়ন সহজ থেকে সহজতর হয়।

সবমিলিয়ে দেশে বিদেশে বৃহত্তর নোয়াখালীর মানুষের তাৎক্ষনিক তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করাসহ নোয়াখালী ওয়েবের কমন ফ্লাটফর্মে বৃহত্তর নোয়াখালীর কমিউনিনিটিকে শক্তিশালী করা নোয়াখালী ওয়েবের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। যার মধ্য দিয়ে দেশে বিদেশে নোয়াখালীর মানুষ সম্পকে নেতিবাচক ধারনার পরিবর্তন হয়ে সবসময় ইতিবাচক ধারনা তৈরী হবে। এতে করে আমরা নোয়াখালীবাসীর স্বর্কীয়তা, নিজস্ব সংস্কৃতির ভালোদিকগুলো সবার সামনে সঠিকভাবে উপস্থাপিত হবে। এছাড়া নোয়াখালী ওয়েব নিয়মিত এককভাবে অথবা নিউজ পার্টনারদের সাথে যৌথভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ক্ষেত্রে তাদের সচেতনতামূলক, সভা, সেমিনার, গোল টেবিল আলোচনা, কর্মশালা ও বিভিন্ন ধরনের প্রতিযৌগিতার আয়োজন করবে।
নোয়াখালী ওয়েব যেহেতু অনলাইন ভিত্তিক পত্রিকা সেহেতু ইন্টারনেটের প্রসার এর সাথে সাথে নোয়াখালী ওয়েবের অগ্রযাত্রা অনেকটাই নির্ভরশীল। আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা অনেকেই এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও স্থানীয়ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা আনুপাতিক হারে অনেক কম। ২০০৬ সালে গ্রামীন ফোন যখন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট প্রসারের লক্ষ্যে কমিউনিটি ইনফরমেশন সেন্টার (সিআইসি) এর কাজ শুরু করে তখন নোয়াখালী ওয়েব বৃহত্তর নোয়াখালীতে ইন্টারনেট প্রসারের জন্য সিআইসির পার্টনার হিসাবে কাজ করে। এসকল কাজের ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালের শেষ পর্যন্ত পুরো বৃহত্তর নোয়াখালীতে ইন্টারনেট এর ভালো একটা ইউজার/পাঠক গোষ্ঠী তৈরী হয়েছে।

সহযোগী পোর্টাল : নোয়াখালী ওয়েবের সহযোগী পোর্টাল http://www.greaternoakhali.com.bd/ তে বৃহত্তর নোয়াখালীর জেলা টু গ্রাম পর্যন্ত সব ধরনের ইনফরমেশন প্রকাশ করা হবে। যেখান প্রতিটি জেলার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মানচিত্র, এখানকার ঐতিহ্য, বিশেষ ব্যক্তিদের প্রোপাইল 'আমাদের কৃতি সন্তান', প্রবাসীদের জন্য 'আমরা প্রবাসী' ডাটাবেইজ, সাধারণ মানুষের জন্য 'পাবলিক ডিরেক্টরি' এবং প্রাতিষ্ঠানিক অন্যান্য সব ধরনের তথ্য থাকবে, যা সার্বক্ষণিক ভাবে আপডেট হবে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে কয়েক বছর সময় লাগলেও আমাদের বর্তমান ও পরবর্তী প্রজম্ম এর মধ্য দিয়ে অনলাইনে বৃহত্তর নোয়াখালীর একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্য ভান্ডার পাবে বলে নোয়াখালী ওয়েব বিশ্বাস করে।

সহযোগী প্রকাশনা : শুধু অনলাইন নয় অফলাইনের মানুষদেরকেও সঠিক তথ্য সেবা প্রদান করা এবং এ অঞ্চলের নতুন লেখক সৃষ্টির লক্ষে 'নোয়াখালী ওয়েব' অফলাইন নামে একটি মাসিক ম্যাগাজিন প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে। যেখানে বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রতিদিনকার সংবাদ প্রবাহ ছাড়াও এ অঞ্চলের শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, আমাদের কৃতি সন্তানসহ নিত্যনতুন বিভাগ সমৃদ্ধ হয়ে ম্যাগাজিনটি শীঘ্রই নিয়মিতভাবে পাঠকের হাতে পৌঁছবে।
ব্যাবস্থাপনা : সম্পাদকীয় বোর্ড কতৃক নোয়াখালী ওয়েব'র মূল ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হচ্ছে। তবে পত্রিকাটির মানোন্নয়নে বিভিন্ন পরামর্শ ও সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে পত্রিকাটির একটি শক্তিশালী উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের কাজ চলছে। সাবেক কুটনৈতিক জনাব এস এম রাশেদ আহমেদ চৌধুরী, বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা জনাব মোহাম্মদ ইউসুফ কে ইতোমধ্যে এ পরিষদে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর তিন জেলার জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সুনাম অর্জনকারী এবং নিজ এলাকার উন্নয়নে আন্তরিক এরকম ১৫-২১ জনের সমন্বয়ে এ উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হবে এবং প্রতিবছর এ পরিষদ নতুনভাবে /পূণঃ মনোনীত হবে।

জনবল : দেশে এবং বিদেশে নোয়াখালী ওয়েব এর বর্তমান সাংবাদিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ৫৫ জন।

ব্যয় নির্বাহ : নোয়াখালী ওয়েব ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (ডিডিএফ) এর অধীনে একটি অলাভজনক প্রকল্প। শুরু থেকে নোয়াখালী ওয়েবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এর ব্যক্তিগত ও পরবর্তীতে তার পরিচালনাধীন ডিডিএফ এর অর্থায়নে এখন পর্যন্ত নোয়াখালী ওয়েবের ব্যয় নির্বাহ চলে আসছে। তবে প্রকল্পটিকে টেকসই করার লক্ষে নোয়াখালী ওয়েব একটি সহযোগী পরিবার গঠনের কাজ শুরু করছে। মূলত সহযোগী পরিবারের সদস্যদের মেম্বারশীপ ফি এবং কিছু বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে পত্রিকা/সংবাদ মাধ্যমটির ব্যয় নির্বাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এক্ষেত্রে সকলের সহযোগীতা একান্ত কাম্য।

পরিশেষে আপনার প্রতিষ্ঠানের/সংগঠনের ইতিবাচক কর্মকান্ডের খবর পাঠিয়ে নোয়াখালী ওয়েবের প্রকাশনাকে সমৃদ্ধ করার আহবান রইল।

সম্পাদকীয় কার্যালয় : ৮৪/৭ নয়াপল্টন (চতুর্থতলা), ঢাকা-১০০০। ফোন-ফ্যাক্স : ৮৮০ ২ ৮৩১১৫৩৭, মোবাইল : ০১৯১৬৫৫৩৩৬৬